বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল নগরীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে। সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে মালিকরাও নেই তাদের পাশে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন গাড়ির চাকা না ঘুরলে তাদের আয় রোজগার হয় না।
সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। স্বাভাবিক সময়ে কল্যাণ তহবিলের নামে শ্রমিক ও মালিক সমিতি প্রতিদিন চাঁদা নিলেও এখন পাঁশে নেই তারা। ত্রাণ না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার (৫ মে) সকাল ১০ টায় নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা। জানা যায়, গত ২৪ মার্চ থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে করে বেকার হয়ে পড়েছে বরিশালের কয়েক হাজার পরিবহন শ্রমিক। তারা পরিবার নিযে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকলেও শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কেউ কোনো সহায়তা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিকরা।তারা অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের কল্যাণে তহবিলের নামে টাকা নেওয়া হলেও দুযোর্গের সময় কেন সেখান থেকে সহায়তা দেওয়া হয়নি। জেলা বাস মালিক গ্রুপ ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা জানান, শ্রমিকদের জন্য আট টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। বিতরণের জন্য প্রতি ব্যাগে ১০ কেজি করে মোট ৮০০ প্যাকেট করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে কর্মহীন হয়ে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে এ চাল বিতরণের কথা। কিন্তু সাহায্যের চাল পাওয়ার আশায় সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ৩ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। প্যাকেট মাত্র ৮০০। এক পর্যায়ে অকেনেই চাল না পাওয়ার আশঙ্কায় লাইন ভেঙে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং যে যার মতো চালের প্যাকেট নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। আর যারা একেবারেই পাননি তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ-বিন আলম জানান, মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন ত্রাণ দিয়েছে। প্যাকেটের চেয়ে লোক কয়েকগুন বেশি হওয়ায় কেউ পেয়েছেন, কেউ পাননি। সাহায্যের পরিমাণ মানুষের থেকে কম হলে যা হয়, তাই হয়েছে। তবে কোনো খাদ্য সহায়তা লুট হয়নি।
বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা জানান, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নভুক্ত প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তারা গেল দেড়মাসে শ্রমিক সংগঠন ইউনিয়ন, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো ত্রাণ সামগ্রি পায়নি। আর দেড়মাস পর মাত্র ৮০০ শ্রমিকের সাহায্য জোগাড় করেন তারা। এ নিয়ে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে সাধারণ শ্রমিকরা।
তবে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতির দাবি বরিশালের বাস মালিক গ্রুপভুক্ত ২০০টি বাসে তিনজন করে মোট ৬০০ কর্মজীবী শ্রমিক রয়েছে।
Leave a Reply