বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ।। নেই পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি কিংবা পরীক্ষা করার টেকনোলজিস্ট। কম্পিউটারে মনগড়া রিপোর্ট তৈরী করে দেওয়া হতো রোগীদের।
এমন অভিযোগ পেয়ে বরিশাল নগরীর দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামক একটি ডায়াগনস্টিকে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে উল্লেখিত সবগুলো অভিযোগের সত্যতা পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালালে সত্যতা পাওয়া যায়।
দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট মুজিবুর রহমান এবং ডাঃ জাকির হােসেন খন্দকারের স্বাক্ষর নকল করে রোগীদের সাথে প্রতারণাপূর্বক ভুল মনগড়া চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাঃ জাকির হােসেন খন্দকার বা টেকনোলজিস্ট মুজিবুর রহমান কেউ ওই ডায়াগনস্টিকে বসেন না। এমনকি দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসের কার্যক্রম পরিচালনার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০১৭ সালে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, মেডিকেল প্র্যাকটিস, বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১৩(২) ধারায় দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেসের মালিক হোসেন শাহীন ও শ্যামল মজুমদারকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তাদের সহযোগী ইব্রাহিম রানা এবং শ্যাম সাহাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বরিশাল প্রেসক্লাবের ঠিক বিপরীত পাশে দীর্ঘদিন ধরে দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন হােসেন শাহীন ওরফে ঝাড়ুদার শাহীন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একই উপায়ে রোগীকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেছিল দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেসকে।
Leave a Reply