বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাসুদ সরদার গৌরনদী প্রতিনিধি :বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গ্রামের খেটে খাওয়া দিনমজুরদের সহায় সম্পত্তি দখল করার জন্য একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানীকারী ভূমিদস্যু হাকিম হাওলাদারের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনায় মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন ও ঝাড়- মিছিল করেছে ভূক্তভোগী গ্রামবাসী। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত শাহাজিরা গ্রামের।
উপজেলার বাটাজোড়-সরিকল সড়কের শাহাজিরা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে ঝাড়- মিছিল বের করা হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভূক্তভোগী পলাশ খলিফা, কামরুল ইসলাম, শাহিনুর বেগম, নুপুর বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, তারা তাদের পৈত্রিক ও ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছেন। অতিসম্প্রতি তাদের জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে একই গ্রামের মৃত হাতেম আলী হাওলাদারের পুত্র হাকিম হাওলাদারের।
বক্তারা আরও বলেন, জোরপূর্বক তাদের সহয় সম্পত্তি দখল করে নেয়ার জন্য হাকিম হাওলাদার গত ফেব্রুয়ারী মাসে গৌরনদী মডেল থানায় বোমা বিস্ফোরনের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ তদন্ত করে বোমা বিস্ফোরনের কোন আলামত না পাওয়ায় সেসময় থানায় মামলা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে হাকিম হাওলাদার আদালতে মামলা দায়ের করে গ্রামের নিরিহ জনসাধারণকে হয়রানি করে আসছে।
এ ব্যাপারে সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, হাকিম হাওলাদারের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরনের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। গৌরনদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা জানান, হাকিম হাওলাদার একজন ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক। অন্যের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন করাই তার কাজ। স্থানীয়ভাবে কোন সালিশ মীমাংসাই সে মানেনা।
সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লা জানান, হাকিম হাওলাদারের নেশা ও পেশাই হলো গ্রামের দিনমজুর পরিবারগুলোর সহায় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা। বেশ কিছুদিন পূর্বে কে বা কারা হাকিমের বাড়িতে বোমা ফাটিয়েছে। এনিয়ে তিনি (হাকিম) নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করেছে।
চেয়ারম্যান আরও জানান, জমিজমা সংক্রান্ত কোন বিরোধ নিয়ে উভয়পক্ষ গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাকিম হাওলাদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply