বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঠিকাদারী কাজের চেক নিয়ে রবিবার দুইপক্ষে হাতাহাতি হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক ঠিকাদার আকবরুজ্জামন নিয়ে যাওয়ার সময় তার পার্টনার মেহেদী হাসান সুমন বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে গণপূর্তে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার আকবর প্রভাবশালীদের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন দিয়ে ওই চেক নেয়ার চেষ্টা করেছিল।
জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পলি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সত্বাধিকারী আকবরুজ্জামনের প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে দীর্ঘদিন গণপূর্ত দপ্তরের কাজ করে আসছিলেন ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমন। সম্প্রতি সুমন ও আকবরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। যে কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে যে কাজ হয়েছে তার চেক নিয়ে দুইপক্ষে বিরোধ চলছিল। রবিবার গণপূর্ত দপ্তরে ঠিকাদার আকবর বহিরাগত নিয়ে চেক নেতে আসলে বাধা প্রধান করে তার পার্টনার সুমন।
জানতে চাইলে ঠিকাদার মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আকবরের সঙ্গে তিনি পার্টনারে হিসাবে কাজ করে আসছেন। আকবর ঢাকায় থাকতেন। আর যত কাজ তিনিই করতেন। আকবর তার কাজের নির্মান সামগ্রী নিয়ে বরিশালে ভবন করেছেন। দীর্ঘদিন তার লাইসেন্সে ২৩টি সাইটের কাজ করলেও আকবর এখন আর চিনেন না।
রবিবার প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক বহিরাগত এনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি নির্বাহী প্রকৌশলী চেক দেয়ার জন্য প্রভাবশালীরা ফোনে চাপ সৃষ্টিও করে। এ সময় তিনি বাধা দিয়ে তার সঙ্গে হিসাব মেটাতে বলেন। কিন্তু আকবর কোন হিসেব বোঝাতে চান না।
পলি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, তিন রবিবার তার কোম্পানির প্রধান আকবর স্যারের সঙ্গে গণপূর্তে যান। কিন্তু তার পার্টনার সুমনের সঙ্গে চেক নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেখানকার দেড় কোটি টাকা, ৫০ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকা মোট আড়াই লাখ টাকার ৪টি চেক নেয়ার জন্য আকবর স্যারের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর কথা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে ঠিকাদার সুমন এসে বাধা দেয়। তার লোকজন আমাকে ধাক্কা দেয় এবং ভয়ভীতি দেখায়।
এ ব্যাপারে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা বলেছেন, দুইপক্ষের মধ্যে পার্টনারশিপ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তিনি তার দপ্তরে একটি সভার সময় হট্টগোল শুনতে পান। এক পর্যায়ে পুলিশকে ইনফর্ম করেন। পুলিশ এসে বহিরাগতদের বের করে দিয়েছেন।
আকবর ৪টি চেক নিতে এসেছিলেন। ওই চেকের জন্যই কিছুদিন আগে সুমনও ঘুরেছেন। কেন না তারা দুইজন পার্টনার। এসব কারণে দুইজনকে সমঝোতা করে আসার জন্য চেকগুলো স্থগিত রেখেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা দেখিয়ে যদি কোন পক্ষ চেক নিতে চায় তা হতে দেয়া যাবে না বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
Leave a Reply