মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি॥ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট-আগৈলঝাড়া, আগৈলঝাড়া-বাসাইল ও আগৈলঝাড়া-গৈলা খালে গত একবছর পূর্বে বরিশালের মেসার্স মাহফুজ খান নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪টি বাঁধ দিয়ে রেখেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালে এই বাঁধের কারণে চলতি বছরের ইরি-বোরো ধান চাষেপানি সেচের ব্যাহত হচ্ছে। পানি সেচের ব্যাহত হওয়াতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঝুঁকিতে রয়েছে জানালেন কৃষি অফিস।
স্থানীয় ভূক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের গৈলা ইউনিয়নের খাল ও রাজিহার ইউনিয়নের খালের কান্দিরপাড় থেকে আগৈলঝাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত গাইড ওয়াল নির্মন ও আগৈলঝাড়া থানা সংলগ্ন আরসিসি কংক্রিট ব্রিজ নির্মানে জন্য গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মেসার্স মাহফুজ খান নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রকল্পের কাজের জন্য খালের মধ্যে চারটি বাঁধ দিয়ে কাজ শুরু করন। প্রায় ছয়মাস পূর্বে কাজ শেষ হলেও খালের বাঁধ অপসারন করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাধেঁর কারণে গৈলা ইউনিয়ন, বাকাল ইউনিয়ন ও রাজিহার ইউনিয়নের চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পানি সেচে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ তুষার সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার রাজিহার, বাকাল ও গৈলাসহ তিন ইউনিয়নে ৬ হাজার হেক্টর বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। রাজিহার- গৈলা খালে সওজের ঠিকাদারের দেওয়া বাঁধ দুটি অপসারন না করায় উপজেলার রাজিহার, বাকাল ও গৈলা তিন ইউনিয়নের ৩৫টি প্রকল্পের ৫ হাজার চাষী চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, সেচ মৌসুমে পানি সংকটের সত্যতা স্বীকার করেন। সেচ সংকটে বোরো চাষ মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। ফলে লক্ষ্যমাত্র অর্জন বাধাগ্রস্থ হবে।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যেই বিষয়টি লিখিত আকারে আমাদের অবহিত করেছেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহফুজ খান এর সাথে বারবার যোগাযোগ করে তাকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply