শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকায় ক্রয়কৃত জমিতে ভবণ নির্মানে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে লিটু কর্মকারের বিরুদ্ধে। দাবিকৃত ১০ লাখ টাকার পুরোটা না দিলে কোনক্রমেই ভবন নির্মান করতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় সন্ত্রাসী লিটু। এছাড়া এ নিয়ে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী হচ্ছে নতুন বাজার এলাকার চাল ব্যবসায়ী তপন পালের স্ত্রী রেবা পাল। তিনি জানান, গত ১১বছর পূর্বে নতুন বাজার এলাকার কালিমন্দির গলির নিত্যনন্দন কর্মর্কারের কাছ থেকে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর ওই জমির দেখাশুনার দায়িত্ব দেয়া হয় রেবার বড় ভাই শংকর পালকে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই ক্রয়কৃত জমিতে রেবা পাল ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে। গত মে মাসে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করলে এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী লিটু তার সহযোগীদের নিয়ে বাধা দেয় ও নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে লিটু কর্মকারের সাথে রেবাপাল ও পরিবারের সদস্যরা আলাপ আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু চাঁদা না দিয়ে কোনক্রমেই লিটু ওই ভবন নির্মান করতে দেবে না হুশিয়ারি দেয়। কোন উপয়ন্তু না পেয়ে রেবা পাল প্যানেল মেয়র ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটুকে বিষয়টি জানালে তিনি শালিস মিমাংশা করে দেবার আশ্বাস দেন।
পরে কাউন্সিলর লিটু ও বরিশাল বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওবায়দুল্লাহ সাজুকে নিয়ে রেবা পালের ভবন পরিদর্শনে যান। পরিদর্শণ শেষে রেবা পাল ও লিটু কর্মকারের সাথে শালিস মিমাংশা করে দিয়ে রেবাকে ভবন নির্মান কাজ শুরু করার জন্য বলেন। কিন্তু রেবা পাল কাউন্সিলর লিটুকে জানালে সন্ত্রাসী লিটু কর্মকার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ঘটনা ভিন্ন দিতে প্রবাহিত করতে লিটু তার জমিতে প্রবেশ করে রেবা পাল জমি নির্মান করছে বলে নতুন অজুহাত দাড়া করে।
এছাড়া সে সিটি কর্পোরেশনের প্লান বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মান করছে বলে রেবা পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। লিটু অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন রেবা পালের ভবন নির্মানে কোন অনিয়ম না পেয়ে রেবা পালকে ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়। কিন্তু কোন কিছুতেই সন্ত্রাসী লিটুকে থামাতে পারছে না রেবা পাল।
সিটি কর্পোরেশনের ভবন নির্মানের অনুমতি পেয়ে রেবা পুনরায় তার ভবন নির্মান করতে গেলে লিটু কর্মকার তার সহযোগীদের নিয়ে ভবন নির্মানে বাধা দিয়ে আসছে। এছাড়া সে তার পূর্বের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা দিলে এখাকে কোন ভবন নির্মান করতে দেয়া হবে না হুমকি দেয়। গত ২০জুলাই রেবা পালের ভাই শংকর পাল লিটু কর্মকারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, ওই এলাকার কেউ কোন জমি ক্রয় কিংবা ভবন নির্মান করতে গেলেই তার বাধা হয়ে দাড়ায় লিটু কর্মকার। তাকে চাঁদা না দিলে কেউ এখাকে শান্তিতে বসবাস করতে পারে না। সবাই লিটুর কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে আছে বলে জানান এলাকাবাসীরা।
এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়ের সাথেই কথা বলে শালিস-মিমাংশা করে দেবার চেষ্টা করেছি। লিটু কর্মকারকে অনেকভাবে বুঝিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। চাঁদা দাবি করার বিষয়টি আমার রেবা পাল আমাকে বলেছে। এ ব্যাপারে লিটু কর্মকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি চাঁদা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রেবা পালের ছাদের পিছনের কিছু অংশ আমার জমির মধ্যে পড়েছে। এনিয়েই আমার সাথে তার দ্বন্দ্ব।
Leave a Reply