মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
বরগুনায় প্রতিনিধি॥ বরগুনায় এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে চাল চুরি করাসহ একাধীক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মলেন করা হয়েছে। সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশশাকুর রহমান ফিরোজের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল চুরি, প্রকৃত জেলেদের চাল না দেয়া, সরকারি শিক্ষকদের ভিজিডি চাল দেয়াসহ ১২ দফা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ইউনিয়নের ৯ সদস্য।রোববার দুপুরে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রেজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ সফিকুল ইসলাম পনু, ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন, জাকির হোসেন চুন্নু, ফারুক হোসেন, আবদুল খালেক ও সহিদুল ইসলাম। মেম্বরদের ১২ দফা অভিযোগে জানা যায়, সরকারের ৪০ দিনের কর্মসূচি বরাদ্দের সিংহ ভাগ টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেন।
এ বছর ১০৩ জন শ্রমিকের নামে ৯ লাখ ৬৪০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কাজ না করিয়ে সেই টাকা থেকে ১০৩ জন শ্রমিকের ২২ দিনের মজুরি ৪ লাখ ৯ হাজার ৮৫২ টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া যাদের নাম শ্রমিকের তালিকায় রয়েছে তাদের দ্বারা কাজ করায় না চেয়ারম্যান।
গভীর নলকূপ দেয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান জনগণের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।মেম্বররা বলেন, আমরা প্রতিবাদ করলেই আমাদের নামে মামলা দেয়ার ভয় দেখায়।তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যান অপসারিত না হলে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে আর যাব না।
চেয়ারম্যানের সঙ্গে মহিলা মেম্বর হাসির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে বিধি বহির্ভূত তাকে একটি ত্রাণের ঘর দিয়েছেন চেয়ারম্যান।তারা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মীর নুরুল হক সরকারি টাকায় জনগণের কল্যাণে মোটরসাইকেল দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করেন।
সেই অ্যাম্বুলেন্সের মোটরসাইকেল খুলে সাইফুল নামের এক চৌকিদারের কাছ থেকে টাকা নায়ে তাকে দিয়েছেন। সরকারি এলজিএসপির টাকা দিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও ঘাটলা নির্মাণ করেছেন।
এডিবির বরাদ্দের টাকা চেয়ারম্যান কোথায় কীভাবে ব্যয় করেন তা মেম্বররা আদৌ জানেন না। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আশশাকুর রহমান ফিরোজ বলেন, মেম্বরদের আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
Leave a Reply