বঙ্গবন্ধু; চৈত্রের দৃঢ়তা আর বসন্তের কোমলতায় অনন্য মহাপুরুষ Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বঙ্গবন্ধু; চৈত্রের দৃঢ়তা আর বসন্তের কোমলতায় অনন্য মহাপুরুষ

বঙ্গবন্ধু; চৈত্রের দৃঢ়তা আর বসন্তের কোমলতায় অনন্য মহাপুরুষ

বঙ্গবন্ধু; চৈত্রের দৃঢ়তা আর বসন্তের কোমলতায় অনন্য মহাপুরুষ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। ১৭ মার্চ, বাঙালির অবিসংবাদিত মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস। সৃষ্টিকর্তার দেয়া অপার সৌভাগ্যে আমরা ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের সুযোগ পেয়ে ধন্য হয়েছি। ইতিহাসের এই সমুজ্জ্বল মুহূর্তে হৃদয়ের সবটুকু শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দিয়ে আমরা স্মরণ করছি তাকে। বৈশ্বিক বাস্তবতায় বরাবর ১৭ মার্চকে বঙ্গবন্ধুর জন্মতিথি হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বাঙালির আবহমান পঞ্জিকানুসারে চৈত্র মাসের প্রারম্ভিক সময় অর্থাৎ ৩রা চৈত্র এই মহাপুরুষের জন্মক্ষণ। ভরা বসন্তের সৌন্দর্যমণ্ডিত চৈত্র মাসে জন্ম নেয়া বঙ্গবন্ধুর সফল সার্থক জীবনটাও ছিল সুশোভিত, পুষ্পময়। জন্মের এই শুভক্ষণে কবির অনবদ্য স্মরণ-

 

 

আজ পৃথিবীর সব ফুল তুলে নেবো আমরা

ফুলে ফুলে ভরে দেবো সমাধির প্রাঙ্গণ

 

যেখানে ঘুমিয়ে আছেন জাতির পিতা

নিপীড়িত বিশ্বের মহান নেতা।

 

ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঋতুরাজ বসন্ত। এই বসন্তের দ্বিতীয় মাস চৈত্র অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হয় আমাদের মাঝে। একদিকে যেমন খরতা আর প্রখরতায় পরিবর্তনের অনবদ্য দৃঢ়তা অপরদিকে তেমনি অবিরাম মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস ছুঁয়ে যায় মানুষের মন। এমাসে শীতল বাতাসের মোহনীয়তায় কঠিন রোদ্দুরেও ফসলের মাঠ পরিচর্যায় উদ্দীপ্ত থাকে কৃষক। দিকে দিকে সবুজ পল্লবে নবরূপে সজ্জিত ফসলের মাঠ সমৃদ্ধির অমোঘ বার্তা নিয়ে আসে। প্রস্ফুটিত বিপ্লবের প্রস্তুতির মাস চৈত্র। আর এই শুভ সময়েই বাঙালির জাতির জনকের আবির্ভাব ঘটেছিলো পৃথিবীতে। তাইতো আমৃত্যু চৈত্রের বাসন্তী মুগ্ধতা দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন বাঙালি ও বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের হৃদয়।

 

 

গত বছর মহামারি করোনার ছোবলে আমরা প্রত্যাশিত উদ্যম দেখাতে পারিনি এদিনে। আবার এবারও মার্চের মাঝামাঝিতেই বেড়ে যাচ্ছে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে মধ্য-মার্চ মানেই ‘চৈত্র’ শুরু। আর এই মাসের জলবায়ুগত অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব। অনাদিকাল থেকে গুটিবসন্ত, জলবসন্ত, ওলাউঠাসহ নানাবিধ রোগ মহামারি আকারে দেখা দিত এ মাসে। এছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয়, ফ্লু-জনিত জ্বর, চোখউঠা প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাবও ঘটে চৈত্রে। ফলে বর্তমান সময়ের কোভিড সংক্রমণে এ সময় কিছুটা ঊর্ধ্বগতি হতে পারে, সেটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। চৈত্র মাসে আবহাওয়ার উষ্ণ আর্দ্রতার মাত্রা একটু অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। দিনের বেলায় গরম লু-হাওয়া এবং রাতের শেষভাগে শীত-শীত অনুভূত হওয়ার কারণে মানুষের শরীরে একধরণের অসহনীয়তা তৈরি হয়। এছাড়া এমাসটি শীত-গ্রীষ্মের ট্রানজেকশন পিরিয়ডে থাকায়ও কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়।

 

 

চৈত্র-শিশু বঙ্গবন্ধুর মাঝে এমাসের প্রাকৃতিক গুণাবলরি উপস্থিতি ছিল শৈশব থেকেই। তিনি যেখানে থাকতেন অল্পসময়ের মধ্যে তার চারিত্রিক অনন্যতা ছড়িয়ে পড়তো চারিদিকে, তিনি হয়ে উঠতেন সবার মধ্যমণি। তার নেতৃত্বে পরিবর্তনের স্বপ্ন বুনতো সবাই। আর এভাবেই পরিণত বয়সে এসে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির শিরা-উপশিরায় পরিপূর্ণ বসন্তের আবেশ লেগে যায়, যা পরবর্তীতে কালবৈশাখীর রূপ নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের পক্ষে শোষিত মানুষের গণজাগরণকে বসন্ত হিসেবে চিত্রিত করা হয়, যার মধ্যে সাম্প্রতিক বছরের ‘আরব বসন্ত’ অন্যতম। বাঙালির বসন্তের প্রতিরূপ ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্বয়ং। তার নেতৃত্বে আন্দোলনের চৈতি হাওয়া ছড়িয়ে গিয়েছিলো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি প্রান্তে। একদিকে বঙ্গবন্ধু, যিনি তার লক্ষ্যে ছিলেন অটল, অবিচল, দৃপ্তপদ ও বিরামহীন সংগ্রামী; আর অপরদিকে তার ভাষণ শুনে, সম্মুখ দর্শনে উদ্দীপ্ত বাঙালি হয়ে ওঠে দুর্দম সাহসী বীর। অত্যাচারী, সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক সাক্ষাৎ হিমালয়।

 

 

বসন্তের নববারতায় সমৃদ্ধির গান শোনানো চৈত্র মাস একই সঙ্গে কৃষিপ্রধান বাংলাদেশবাসীর জন্য ছিল কঠিন পরীক্ষার সময়। অগ্রহায়ণে নতুন ফসল ঘরে উঠানোর পর নবান্ন আর পৌষ সংক্রান্তির পর কৃষক আবার নেমে পড়তো মাঠে। ফাল্গুনজুড়ে বোরো ফসলের রোপণ আর পরিচর্যার পর বৈশাখ মাস ছিল নতুন ফসল সংগ্রহের জন্য অপেক্ষার সময়। ফলনের অপেক্ষায় থাকা চাষিরা এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়তো। ঘরে ঘরে অভাব দেখা দিতো। কৃষিপ্রধান অঞ্চল, আভিধানিক শব্দে এটাকে বলা হতো ‘মঙ্গা’। কর্মহীনতা আর ক্ষুধার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পর্বতসম ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হতো তখন তাদের। পাশাপাশি এ সময় খানিকটা অবসরও মিলতো কৃষকের। ফলে বিভিন্ন গণআন্দোলনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা তখন অন্যান্য সময়ের চেয়ে সহজ হতো। ফলে দেখা যায়- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধপূর্ব আন্দোলন, এমনকি ১৯৯৬-এ একদলীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা বিএনপি সরকারের পতন সংঘটিত হয়েছিলো এই মার্চ মাসেই। আর এসব আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বাংলার কৃষককুলের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ও অবদান ছিল। আর তাইতো বঙ্গবন্ধু সর্বদা নিজেকে শোষিত-বঞ্চিত কৃষকশ্রেণির প্রতিনিধি পরিচয়ে গৌরববোধ করতেন।

 

 

চৈত্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো শীতকালীন শান্ত-সৌম্য সমুদ্র উপকূল চৈত্র এলেই ক্রমান্বয়ে ফুঁসতে থাকে। উত্তাল হয়ে ওঠা ঢেউয়ের গর্জনে নৌযান চলাচল হয়ে যায় সীমিত, উদ্যম শ্রোতপ্রবাহ আশু ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের বার্তা বয়ে আনে। নদীগুলোতে আচমকা জোয়ার আসে, ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। চৈত্রের সমাপনী লগ্নে মিলিয়ে যেতে থাকে ভোরের কুয়াশা, রাতগুলো হতে থাকে সংক্ষেপিত, ভোরের আগমন ক্রমশ নিকটবর্তী হয়। বসন্ত-প্রকৃতির এই সব বৈশিষ্ট্য একাই ধারণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। চৈত্রে জন্ম হয় হাজার শিশুর, কিন্তু চৈত্রকে ধারণ করে নতুন বোশেখ এনে দেয়া মহাপুরুষ হাজার বছরে একজনই আসেন।

 

 

স্বদেশ, স্বজাতির জন্য এতটা ভালোবাসা, তাদের কল্যাণে এতটা নিবেদিত, এক জীবনে এত ত্যাগ, তিতিক্ষা আর আত্মোৎসর্গের নজির সমসাময়িক বিশ্ব নেতৃত্বে বিরল। বঙ্গবন্ধুর ভাবনার জগৎজুড়ে শুধু বাঙালিই ছিল তা নয়; অবাঙালি, পাহাড়ি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এমনকি অপরাপর ভূ-খণ্ডের বঞ্চিত মানুষেরাও ছিল। সাতচল্লিশের কথিত দ্বি-জাতি তত্ত্বের যাঁতাকলে পড়ে বাংলার খণ্ডিত ও অপ্রত্যাশিত মানচিত্র যেমন তার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, তেমনি তার হৃদয়জুড়ে ছিল সীমান্তের ওপারের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও। তাদের নিয়ে আজ থেকে ছয়/সাত দশক আগে বঙ্গবন্ধুর দুর্ভাবনাগুলো আজ বাস্তবে ফুটে উঠছে। তার সীমাহীন জনপ্রিয়তা ক্রমেই শুধু বাংলাদেশই নয়, ছাড়িয়ে যাচ্ছিলো উপমহাদেশের সীমানাও। বঙ্গবন্ধুকে ‘হিমালয়’ সম্বোধন করা কিংবদন্তি ফিদেল কাস্ত্রোর অসংকোচ প্রকাশই এর অনন্য নজীর।

 

 

স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, সম্পদের সুষম বণ্টন, সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের মর্যাদা ও কাঙ্ক্ষিত সুবিধার উন্নতীকরণ, দীর্ঘমেয়াদি আর্থ-সামাজিক পরিকল্পনা, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন পররাষ্ট্রনীতি, স্বনির্ভর জাতিগঠন, জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করাসহ প্রতিটি বিষয়ে তার দৃষ্টি ছিল সুদূর প্রসারিত ও দিগন্তবিস্তৃত। সামরিকতন্ত্র, দুঃশাসন, দলবাজি, দুর্নীতিবাজ ও পশ্চিম পাকিস্তানিদের দুশ্চরিত্র অনুগামীরা তার জাতিগঠন মাসনে বিঘ্ন ঘটালে তিনি তা নিঃসংকোচে প্রকাশ করতেন। ‘চাটার দল’, ‘চোরের খনি’ বলে তিনি তাদেরই সম্বোধন করেছিলেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে নেয়া তার প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি নিজে অধ্যবসায় করতেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতেন এবং তা বাস্তবায়নের পথ দেখাতেন।

 

 

জাতির জনকের কন্যা ও বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যে আমাদের বিশ্বজয়ের পথে চালিত করছেন, এর পুরো কৃতিত্বই বঙ্গবন্ধুর। তাই বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে, তার আন্দোলন, সংগ্রাম ও অধ্যবসায়কে নিয়ে সুনিপুণ গবেষণার ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের সবচেয়ে বড় আধার। আজ যে নতুন নতুন ইতিহাস স্রষ্টার আবির্ভাব হচ্ছে, তেলতেলে কল্প-কাহিনি সৃজন হচ্ছে, তেলবাজি আর তোষামোদিতে সীমা ছাড়ানোর প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তারা অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে, ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। ইতিহাসের ক্ষেত্রে আমাদের সত্যবাদী, সত্যাশ্রয়ী হওয়ার জন্য মুজিববর্ষ সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

 

 

প্রকৃত অর্থে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর দুর্দমনীয় নেতৃত্ব তার শত্রুসংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছিল। ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠী আর তাদের অনুগামী পতিতচক্র আমাদের শত্রু হলেও স্বাধীনতার পর এই শত্রুর পরিধি বাড়তে থাকে। বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির উত্থান অসহ্য হয়ে পড়ে অনেক রথী মহারথীর কাছে। তাদের এই সম্মিলিত কুট-কৌশল আমাদের অকাল পিতৃহীন করে। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মতোই স্বজাতি আর স্বজনের আঘাতে সপরিবারে প্রাণবসান হয় জাতির জনকের। পৃথিবী যতদিন থাকবে এই কলঙ্ক আমাদের তাড়িত করে বেড়াবে, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।

 

 

কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়েছে, শত্রুরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর প্রাণ কেড়ে নিয়ে তাকে সত্যিকার অর্থে প্রাণময় করে দিয়েছে। মৃত্যুই বঙ্গবন্ধুকে করেছে অমর, শোক হয়েছে বাঙালির শক্তি, সাময়িক উত্থান-পতন আমাদের করেছে সংঘবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর সেই দীপ্ত পথ নির্দেশনাই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিকে করেছে দৃপ্ত, শানিত। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব আসনে সমুজ্জ্বল জ্যোতির্ময়। এই জ্যোতিই আমাদের পথচলার একমাত্র পাথেয়। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!! অজেয় হোক মুজিব বর্ষ!!!

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD