মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এক নারী যাত্রীকে দ্রুত শিমুলীয়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফেরি থেকে ফুসলিয়ে স্পিডবোটে উঠিয়ে পদ্মা নদীর চরের মধ্যে নামিয়ে ৪ বখাটে যুবক দলবেঁধে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে স্পিডবোট চালক ও ধর্ষক তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও ভিকটিম জানায়, যশোর জেলার বাসিন্দা ওই মেয়ের সঙ্গে গত এক সপ্তাহ আগে চাঁদপুরের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। মেয়েটির স্বামী ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় পদ্মা সেতুর প্রজেক্ট এ শ্রমিকের চাকরি করে বলে দাবি করেন। গত তিন দিন আগে মেয়েটি তার আত্মীয় বাড়ি জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার দানেস তালুকদারের বাড়ি বেড়াতে আসেন।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিক ওই মেয়েটি তার স্বামীর কাছে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার জন্য কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিল। অপরদিকে মেয়েটিকে এগিয়ে নিতে তার স্বামীও প্রজেক্টের কাজ শেষ করে শিমুলীয়া ঘাটে তার জন্য অপেক্ষা করছিল। মেয়েটি কাঁঠালবাড়ি ঘাটে একটি ফেরিতে উঠার পর একটি স্পিডবোট নিয়ে চালকসহ ৪ যুবক মেয়েটিকে দ্রুত শিমুলিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে স্পিডবোটে উঠায়।
ফেরির পেছন দিয়ে ধর্ষণকারী বখাটে তিন যুবক মাসুদ মোল্লা, মাহবুব মৃধা, নুর মোহাম্মদ হাওলাদার মেয়েটিকে নামিয়ে স্পিডবোটে করে নিয়ে যায়। স্পিডবোটটি কিছু সময় যাওয়ার পর কাঁঠালবাড়ির বুড়ার খেয়া ঘাটে পৌঁছালে থেমে যায়। এ সময় চালক তেল আনার কথা বলে চলে যায়। পরে তিন যুবক মাসুদ মোল্লা, মাহবুব মৃর্ধা, নুর মোহাম্মদ হাওলাদার মেয়েটিকে চরে নামিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে স্পিডবোট চালক তেল নিয়ে আসলে ওই ৩ যুবক পালিয়ে যায়। মেয়েটি ঘটনার বিস্তারিত জানালে চালক তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। গভীর রাতে মেয়েটির স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে শিমুলিয়া থেকে পার হয়ে কাঁঠালবাড়ি আসে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ধর্ষিতার আত্মীয়-স্বজন এলাকাবাসী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কাঁঠালবাড়ি এলাকায় আপস রফার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
দুপুরে খবর পেয়ে শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক বিষ্ণপদ হীরা সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ আটক চালক ফারুক মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ধর্ষণকারী তিন যুবক মাসুদ মোল্লা (২৫) মাহবুল মৃধা (৩০) নুর মোহাম্মদ হাওলাদারকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ কাঠালবাড়ী এলাকার ফকির কান্দি গ্রামের তনু মোল্লার ছেলে। মাহাবুল মৃধা একই এলাকার রশিদ মৃধার ছেলে এবং আটক নুর মোহাম্মদ হাওলাদার একই এলাকার সামাদ হাওলাদারের ছেলে।
শিবচর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ফারুক, মাসুদ মোল্লা, মাহবুল মৃধা ও নুর মোহাম্মদ হাওলাদার নামের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষিতা আসামিদের শনাক্ত করেছে। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply