মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল নগরীতে একটু সতর্ক দৃষ্টি নিয়ে ঘুরলেই অনেক অপকর্ম-অপরাধের নানা নমুনা সহসাই চোখে পড়বে, জানা যাবে। কিছু দুর্নীতি আছে যা ঘটনাচক্রে প্রকাশ্যে চলে আসে, হয়ে উঠে আলোচিত। আবার কিছু থেকেই যায় লোকান্তরই। এবার নতুন করে ৩০ নং ওয়ার্ডের গনপাড়ায় আবিস্কৃত প্লান ছাড়া অবৈধ ভবন নির্মানে এক বিস্ময়কর কাহিনী। এ কাহিনী বিস্ময়কর মনে হলেও বাস্তবতায় তা স্বাভাবিক। ভবন তৈরিতে বিসিসির এক কর্মচারীকে ফাঁসিয়েছেন ভবন মালিক রতন কুমার দাস।ওই কর্মচারীকে সামহিক ভাবে বহিস্কার করেছে বিসিসি। রতন কুমার দাস ৩০ নং ওয়ার্ডের গনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রতন কুমার দাস এই ঘটনার উদ্যোক্তা বিধায় এতদিন কোন হৈ-চৈ হয়নি। ঝুঁকির প্রশ্নে স্থানীয় কিছু সাধারণ মানুষ এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠলে বিষয়টি চলে আসে আলোচনায়। এদিকে ভবনটি নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার আদেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রশাসনিক এই পদক্ষেপ কতটুকু টিকবে তা প্রশ্নবিদ্ধ। লক্ষীয়ন বিষয় হচ্ছে প্লান শাখার কর্মচারী মোঃ বুখারী ইসলামের নামে বিসিসিতে একটি আভিযোগ দেয় রতন দাস । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কর্মচারীকে সামহিক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করার অবেদন করেন তিনি। অভিযোগ দিয়ে তা প্রত্যাহার করার বিষয়টি ঘোরপাক খাচ্ছে বিসিসির একধীক কর্মচারীর মাঝে। এদিকে প্রশ্ন একে বসেছেন বিসিসির কর্মচারীরা।
সুত্র বলছে, অভিযোগ কারির বিরুদ্ধে বিসিসি কোনো ব্যবস্থা আজও নিবে কিনা তাও আঁচ করতে পারছেন কেউ। যদিও শীর্ষ এক কর্মকর্তা ধারনা দিয়েছেন অভিযোগ দিয়ে প্রত্যাহার করলেই শেষ নয়। বরং সব কিছু যাচাই- বাচাই করে যিনি অভিযোগ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে বিসিসি। কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে পরে বিসিসি এনিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়ননি। ঝুঁকিপূর্ন ভবন তৈরি করার ক্ষোভ বিরাজ করছে দোকান মালিকদের মাঝে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক দোকান মালিক বলেন , ভবন ঝুঁকিপূর্ন জেনেও অগ্রিম টাকা দেয়ার কারনে দোকান ছেড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই,ভাড়ার টাকা না দিয়ে অগ্রিম বাবদ যে টাকা দেয়া আছে সেখান থেকে কেটে দিচ্ছি।
রতন কুমার দাস বলেন, আপনি আমার এলাকার ভাই , আপনি যে পত্রিকায় কাজ করেন সেও আমার বড় ভাই।
এ নিয়ে কথা হয় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্দ এর সাথে।তিনি বলেন ,অভিযোগ দিয়ে তা প্রত্যাহার করা এক ধরনের হয়রানী করা।
প্লান কমিটির প্রধান রায়হান আলমগীর বলেন, যাচাই- বাছাই করার পর বাংলাদেশ সরকারের যে নিয়ম রয়েছে সে অনুযায়ী তাকে পাশ করা হবে। ডিজাইন যদি বহির্ভূত হয় তা কোনো দিনও পাশ করা হবে না ।
Leave a Reply