প্রথম স্ত্রীর পেটে চতুর্থ সন্তান, আরো দুই বিয়ে করলেন শিক্ষক স্বামী Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




প্রথম স্ত্রীর পেটে চতুর্থ সন্তান, আরো দুই বিয়ে করলেন শিক্ষক স্বামী

প্রথম স্ত্রীর পেটে চতুর্থ সন্তান, আরো দুই বিয়ে করলেন শিক্ষক স্বামী

প্রথম স্ত্রীর পেটে চতুর্থ সন্তান, আরো দুই বিয়ে করলেন শিক্ষক স্বামী




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ২১ বছর আগে রাজধানীর সূত্রাপুরের আব্দুল কাদিরের মেয়ে ফারজানা বেগমকে বিয়ে করেন নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের চারিখাদা গ্রামের শাহান শাহ সরদার। তাদের ঘরে তিন মেয়ে, চতুর্থ সন্তানও ফারজানার পেটে। এখন তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরইমধ্যে আরো দুটি বিয়ে করেছেন তার স্বামী।

 

 

তৃতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলতে বাধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা ফারজানাকে অমানবিক নির্যাতন করেছেন শাহান শাহ। গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ফারজানা। শনিবার সন্ধ্যায় স্কুলশিক্ষক শাহান শাহ’র বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।

 

 

জানা গেছে, মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক শাহান শাহ সরদারের সঙ্গে ২১ বছর আগে বিয়ে হয় ফারজানার। তাদের বড় মেয়ে শাহজাদী মারিয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী, মেঝো মেয়ে শাহ আফরিন নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোট মেয়ে ফাতেমা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এখন চতুর্থ সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন ফারজানা। বর্তমানে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

 

 

 

ফারজানা বেগম বলেন, বিয়ের পরই আমার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির তথ্য জানতে পারি। যেহেতু বিয়ে করেছি সে কারণে সব মুখ বুঝে সহ্য করে এসেছি। বিয়ের ৪-৫ বছর পর অর্থাৎ ২০০৫ সালে পলি নামে এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে আমার স্বামী। পরবর্তীতে পরিবার ও আমার অনুরোধে তাকে তালাক দেয় সে। এরপর সংসারে কিছুদিন শান্তি ছিল। কিন্তু মাঝেমধ্যেই আমার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ঘটিত বিভিন্ন অভিযোগ পেতাম।

 

 

তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নিজের এক ছাত্রীকে বিয়ে করে সে। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। মারিয়া নামে ওই নারী মাইজপাড়া ইউনিয়নের কল্যানখালী গ্রামের বাসিন্দা। ৬ মার্চ সন্ধ্যার দিকে তাকে নিয়ে আমার স্বামী বাড়িতে নিয়ে আসে এবং ঘরে তুলতে চায়। তখন আমি বাধা দেয়ায় আমার শ্বশুর সবদার সরদার, স্বামী শাহান শাহ সরদার ও তার তৃতীয় স্ত্রী মারিয়া মিলে আমাকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকে। আমার মেয়েরা ঠেকাতে গেলে তারাও রক্ষা পায়নি। আমার গর্ভে আট মাসের সন্তান রয়েছে। পেটে লাথি মারায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পাই।

 

 

ফারজানা বেগমের মেয়ে শাহ আফরিন বলেন, মারধরের এক পর্যায়ে আমার মা অচেতন হয়ে পড়লে আমরা তিন বোন অ্যাম্বুলেন্সে করে রাতেই তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখানোর পর অবস্থায় খারাপ হওয়ায় তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাত ২টার দিকে মাকে আমরা এখানে ভর্তি করি।

 

 

আফরিন আরো বলেন, ঘটনার পর আমার বাবা আমাদের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এখন আমরা কোথায় উঠবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার বাবা অপরাধী। এ পর্যন্ত তার দ্বারা অন্তত ২৫ জন নারী কলঙ্কিত হয়েছে। আমরা তার সঠিক বিচার চাই।অভিযুক্ত শিক্ষক শাহান শাহ সরদার বলেন, আমি তৃতীয় বিয়ে করায় আমার প্রথম স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে।

 

 

নড়াইল সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD