প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে থাকা বেতাগীর মকবুল পাচ্ছেন ঘর Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে থাকা বেতাগীর মকবুল পাচ্ছেন ঘর

প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে থাকা বেতাগীর মকবুল পাচ্ছেন ঘর

প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে থাকা বেতাগীর মকবুল পাচ্ছেন ঘর




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদার, নিজের কোনো ঘর না থাকায় ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে মীমকে নিয়ে থাকেন প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে। গবাদিপশুর বর্জ্যের মধ্যে নিরুপায় হয়ে বসবাস করা আশ্রয়হীন ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়েকে দেখার কেউ নেই। তীব্র শীতে গোয়ালঘরের স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে বিছানো খড়কুটা-ছেঁড়া কম্বল এখন তাদের আশ্রয়স্থল।

 

 

গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারের পর বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে। তার উদ্যোগে অবশেষে ঘর পাচ্ছেন মকবুল।

 

 

শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক-এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান।

 

 

তিনি বলেন, এরই মধ্যে বরগুনার পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই নিজের ঘরে থাকতে পারবেন মকবুল।

 

 

জানা যায়, মকবুল হাওলাদার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি খালেক হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির একটি গোয়ালঘরে বসবাস করছেন মেয়েকে নিয়ে। বয়সের ভারে মকবুল হাওলাদারের দিন কাটে মানুষের কাছে হাত পেতে। পেটের দায়ে রোগা শরীর নিয়ে লাঠি এবং মেয়ের কাঁধে ভর দিয়ে খাবারের তাগিদে তাকে ছুটতে হয় গ্রাম থেকে গ্রামে। পুরনো কাপড় আর কিছু হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে গোয়ালঘরে শেষ বয়সের সংসার পেতেছেন এ বৃদ্ধ।

 

 

কান্না ভেজা চোখে বৃদ্ধ বলেন, ‘খুব কষ্টে আছি আমি ও আমার মেয়ে। এই শীতে রাতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। অসুস্থ থাকলেও টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারি না। টাকার অভাবে কিছু খেতে পারি না।’

 

 

স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে মকবুল হাওলাদারের স্ত্রী মারা যান। তখন মীমের বয়স ৬ বছর। তখন এ বৃদ্ধ মেয়েকে নিয়ে একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বসবাস করতেন। ছয় মাস আগে বৃষ্টি আর বাতাসে মকবুলের সেই কুড়ে ঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। প্রতিবেশী খালেদ হাওলাদারের গোয়ালঘরে ঠাঁই হয় বাবা ও মেয়ের। প্রায় ছয় মাস ধরে সেখানেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

 

 

মকবুল হাওলাদারের চার ছেলে বরগুনার বাইরে দিনমজুরের কাজ করেন। তারা কেউ তার খোঁজ রাখেন না।

 

 

এ বিষয়ে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন,‘বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আমরা সব সময়ই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। টেলিভিশনে খবর দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুনাকের উদ্যোগে আমরা ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়ের পাশে দাঁড়াবো। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বসবাসের উপযোগী ঘর করে দিতে পারবো।’

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD