মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সাতক্ষীরার কলারোয়া সদরে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল করে তরুণীর পিত্তথলি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আর পিত্তথলি কাটায় তরুণীর জীবন এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।
বুধবার এ ঘটনার বিচার চেয়ে কলারোয়ার ইউএনও মৌসুমী জেরিন কান্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী তরুণীর ভাই খায়রুল বাশার। ভুক্তভোগী তরুণী হাজিরা খাতুন ওই উপজেলার চিতলা গ্রামের জামাল সরদারের মেয়ে।
তরুণীর ভাই খায়রুল বাশার বলেন, আমার বোন হাজিরা পেটব্যথা ও বমি রোগে ভুগছিলো। এতে তাকে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। গত ১৩ আগস্ট কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বোনকে মুন্না ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। পরীক্ষার পর মুন্না ডায়াগনস্টিকের ল্যাব ইনচার্জ খান মেহেদী রাসেল বলেন, আপনার বোনের পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। তাই সেটি অপারেশন করতে হবে।
খায়রুল আরো বলেন, ২২ আগস্ট হাজিরাকে কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অপারেশনের পর পিত্তথলি কেটে ক্লিনিকের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বললেন ভুল হয়ে গেছে। হাজিরার পিত্তথলিতে কোনো পাথর নেই, ভুল করে পিত্তথলি কেটে ফেলেছি।
খায়রুল বলেন, এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ইউএনওর কাছে বুধবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই চিকিৎসক সিন্ডিকেট চক্রের শাস্তি চাই। তারা আমার বোনের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে।
আশঙ্কার কথা জানিয়ে খায়রুল আরো বলেন, ওই ক্লিনিকে হাজিরা এখনো চিকিৎসাধীন। ভুল অপারেশনের প্রতিবাদ করায় ক্লিনিকের ইনচার্জ সালাউদ্দীন হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা আমাকে হুমকি দিয়েছে।
কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের মালিক চিকিৎসক ঈসমাইল হোসেন বলেন, রোগীর স্বজনদের অনুরোধে দ্রুত অপারেশন করা হয়েছে। এজন্য পিত্তথলি কেটে গেছে। তবে মেয়েটি এখন সুস্থ আছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও মৌসুমী জেরিন কান্তা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply