পটুয়াখালীর দশমিনায় হতদরিদ্রদের ভিজিডির সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পটুয়াখালীর দশমিনায় হতদরিদ্রদের ভিজিডির সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

পটুয়াখালীর দশমিনায় হতদরিদ্রদের ভিজিডির সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

পটুয়াখালীর দশমিনায় হতদরিদ্রদের ভিজিডির সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৪নং দশমিনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের ভিজিডির সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

 

 

এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথক দুই দফা অভিযোগ করেছেন। চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।

 

 

এদিকে চাল আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা প্রোটকল না মেনে বুধবার ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কার্ডধারীদের নিয়ে একটি জরুরি সভা করেন চেয়ারম্যান লিটন।

 

 

জেলা প্রশাসকের কাছে করা ওই অভিযোগে বলা হয়, দশমিনা উপজেলার ৪নং দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭২৪ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিডির কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়।

 

 

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সব সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ভিজিডির কার্ড নিয়ে নেন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন। ২০১৯ সালের ১২ মাস এবং ২০২০ সালের ৬ মাসসহ ১৮ মাসের মধ্যে ১৪ মাসের চাল বিতরণ করা হয়।

 

 

বাকি চার মাসের চাল বিতরণ করা হয়নি। পরে কার্ড হাতে পাওয়ার পর ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন ভুয়া টিপ সই দিয়ে ১৮ মাসের ঘর পূরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিজিডি কার্ড বাবদ ৩-৪ হাজার করে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

 

 

এদিকে চাল আত্মসাতের ঘটনায় ডিসির কাছে অভিযোগ দেয়ার পর পর ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছে চেয়ারম্যানের লোকজন।

 

 

এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দুবার চেয়ারম্যান হয়েছি। আমি কোনো সুবিধাভোগীর কাছ থেকে একটা টাকা নিয়েছি বা এক কেজি চাল আত্মসাৎ করেছি তার কোনো নজির এ ইউনিয়নে নেই। আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে ঘায়েল করতে না পেরে সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন ও আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছে।

 

 

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত উদ্দিন জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD