শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কথিত চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। কথিত ওই সংস্থার অনলাইন বিজ্ঞাপনে (chakrikhobor.com) মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে বরিশাল জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিটি উপজেলায় লোক নিয়োগের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ‘ইউনিয়ন সুপারভাইজার’ পদের জন্য পরিচালক প্রশাসন, মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র (গভ. রেজি. নং সি ২০২১৩৪১) বাড়ি নং ৫১২, রোড নং ২, মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭ বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন প্রেরণ করে বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী এ্যানি আক্তার। তার দেখাদেখি একই এলাকার মাইনুর ইসলাম, সুমি আক্তার ও সাইফুুল হক তানভীর হাওলাদার বিভিন্ন পদে চাকরির আবেদন করেন।
২৮ নভেম্বর মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এক নারী আবেদনকারীকে ফোন করে জানানো হয় আপনাদের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ৫ নভেম্বর থেকে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ হবে। ওই প্রশিক্ষণের জন্য ৭৫০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ (ফেরত যোগ্য) অফিসে জমা দিতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ওই টাকাসহ আরো ৪ হাজার টাকা ভাতা দেয়া হবে। সে অনুযায়ী ওই অফিসের ০১৭৭৫৮৮৬৬৩২ নম্বরের বিকাশে (পার্সোনাল) আবেদনকারী প্রত্যেকে ৭৫০ টাকা করে প্রেরণ করে।
এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ০১৪০২৭৪২৭১১, ০১৮৪২০৭৪৭৫৬, ০১৮৪২০৭৪৭৭৬, ০১৮২৫৪৬৯৫৮৩ ও ০১৮৮৮০০৯৬৮৯ নম্বর থেকে আবেদনকারীদের ফোন করে ফেরতযোগ্য জামানত বাবদ ১১ হাজার ৫০০ টাকা এবং আবেদনকারীর পছন্দ অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য যৌথ ব্যাংক একাউন্ট ফি বাবদ ৫৫০ টাকা করে বিকাশের মাধ্যমে আদায় করে চক্রটি।
৫ ডিসেম্বরের প্রশিক্ষণের বিস্তারিত জানতে আবেদনকারীরা ৪ ডিসেম্বর ওইসব মুঠোফোন নম্বরে রিং দিলে ফোনগুলো বন্ধ পান। ৬ ডিসেম্বর আবেদনকারীরা ০১৮৪২০৭৪৭৭৬ নম্বরে ফোন দিলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে ওই চক্রের নারী সদস্য।
এর আগে বরিশাল নগরীর বাজার রোডের এক নারী, নগরীর খান সড়কের দুই যুবক এবং শীতলাখোলা এলাকার এক নারীর কাছ থেকেও একই পদ্ধতিতে মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় নগরীর বাজার রোডের তানজিলা আক্তার নামে এক নারী কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করলে অভিযুক্ত প্রতারকদের শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে সাধারণ ডায়রির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম।
Leave a Reply