রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের ১নং মার্কেটের একটি ওষুধের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।শনিবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে কাউন্সিলর নিজে উপস্থিত থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দোকান মালিক মো. শামীম হাওলাদার। বরিশাল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শামীম হাওলাদার জানান, জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নেয়া তার এই স্টলটি অবৈধ বলে কাউন্সিলর ভাংচুর ও লক্ষাধিক টাকার ওষুধ লুটপাট করেছে।
যে ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছেন তিনি। বিস্তারিত অভিযোগে তিনি জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সামনে জেলা পরিষদের ১নং মার্কেটের ২৩নং দোকানের পাশে সিড়িকোঠা লীজ পাওয়ার জন্য ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন তিনি। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯১০ টাকা বিনিময়ে ৫৫ বর্গ ফুটের ঐ সিড়িকোঠাটি ইজারা পান তিনি। যেখানে পরিষদের ঐ মার্কেটের জন্য নির্মিত একটি টয়লেট ছিলো।
এরপর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর টয়লেটটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আবেদন করেন তিনি। জেলা পরিষদ একই মাসের ২৮ তারিখ মার্কেটের নিচতলার সিড়িকোঠাটি উল্লেখিত অর্থের বিনিময়ে আবেদনকারী মো. শামীম হাওলাদারকে ইজারা দেয়।
একই সাথে টয়লেটটি অপসারণ করে ভবনের ছাঁদে নিজ খরচে নতুন করে একটি টয়লেট নির্মাণ করে দেয়ার অনুমতি দেয়। যার বৈধ সকল অনুমতিপত্র তার কাছে রয়েছে।
ইজারা লাভের জন্য দেয়া টাকার সকল বৈধ প্রমাণাদিও রয়েছে। মো. শামীম আরো জানান, অনুমতি পাওয়ার পরে তিনি একটির স্থানে ৪টি টয়লেট নির্মাণ করে দেন। সিড়িকোঠার নিচ থেকে যে স্থান বের হয় সেখানে শামিম মেডিকেল হল নামে তার ওষুধের দোকানটি পরিচালনা শুরু করেন।
কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় তাকে বাধা দিলে মজিবুর রহমান নিজে তাকে মারধর করেন। লুটপাট করেন লক্ষাধিক টাকার ওষুধ। এবিষয়ে যোগাযোগ করলে কাউন্সিলর মজিবুর রহমান জানান, সিড়িকোঠায় অবস্থিত টয়লেটটি ছিলো পুরো মার্কেটের কয়েকশ’ লোকের ব্যবহারের জন্য। এছাড়া রোগি ও পথচারীরাও সহজেই এই টয়লেটটি ব্যবহার করতে পারতো।
কিন্তু ঐ স্থান থেকে টয়লেটটি সরিয়ে অন্যত্র একাধিক করা হলেও তা সকলের জন্য একটি ভোগান্তির কারন হয়েছে।
শামিম হাওলাদার একজন কূটকৌশলী লোক বলে জানান তিনি। রাতের আঁধারে জেলা পরিষদের কিছু অসাধু লোকজনকে টাকা দিয়ে এই ইজারা নিয়েছে সে।
এছাড়া রাতে আঁধারেই টয়লেটটি অপসারণের কাজও করিয়েছে। তাই মার্কেটের একাধিক স্টল মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশনের উচ্চ মহলের অনুমতি নিয়ে তার কাছে সকালে কেন এমন কাজ করলো বিষয়টি জানতে গিয়েছিলেন তিনি।
মারধর ও লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর বলেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে দিনের আলোতে কিভাবে লুটপাট করা যায় তার তার জানা নেই। এটি একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ।
Leave a Reply