সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল নগরীর জনবহুল এলাকা সদররোড এলাকা থেকে জীবিত এক নবজাত উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাত ১২ টার দিকে সদররোড সংলগ্ন সিটি কলেজের প্রবেশদ্বার থেকে ওই নবজাতকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু নবজাতকের পরিচয় কি বা কোথা থেকে আসলো সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি পুলিশ নবজাতকে উদ্ধার করলেও রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বরিশাল শহরে নানা গুঞ্জনের পাশাপাশি কৌতুহলও সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ প্রাথমিক ভাবে নবজাতকের সড়কে পড়ে থাকার বিষয়টিকে আড় চোখে দেখলেও কোন মন্তব্য করেনি।
আবার অনেকে ধারণা করছে কোন ব্যক্তি বিশেষের সন্তান নিয়ে এসে কেউ ফেলে রেখেছে। যদিও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য না করে নবজাতকের স্বজনদের খুঁজে বের করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে এক মাস বয়সি কন্যা নবজাতককে সড়কের ওপরে গড়াগড়ি খেয়ে কান্নাকাটি করে। উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছিলো। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নবজাতককে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ কিছুক্ষণ আশপাশ এলাকায় নবজাতকের স্বজনদের খোঁজ করলেও পায়নি। ফলে নবজাতককে আপাতত পুলিশ সেফহোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েছিলো। আবার মাসখানেক বয়স নবজাতককে মানবিক কারনেও সেখানে পাঠাতে অসম্মত ছিলেন কোতয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম। একপর্যায়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিএনপিপন্থী বরিশাল সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের পুত্র কামরুল আহসান রুপম। ফর্সা বর্নের ফুটফুটে বাচ্চাটি দেখার পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন তিনি। পুলিশের কাছে আর্জি রাখলেন বাচ্চাটি দত্তক নেয়ার। অবশ্য পুলিশও এমন প্রস্তাবে সম্মত থাকলেও আইনের বাধ্যবাধকতার কারনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। তবে নবজাতক উদ্ধারের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে মেয়রপুত্রের কোলে দেয়ার সুপারিশ রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। যে কারনে মানবিক দিক বিবেচনা করে অবুজ শিশুটিকে রাতেই মেয়রপুত্র রুপমের হাতে তুলে দিয়ে দেখভাল করার পরামর্শ দেন। মেয়র পুত্রও খুশি মনে বাচ্চাটিকে নিয়ে বাসায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply