মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে (২৫) ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফির অভিযোগে শনিবার (২৫ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সাখাওয়াত হোসেন রানাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিন দুপুরে অভিযোগকারী নারীর ভাড়া বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছু দিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।
রাজশাহী মহানগরীরর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তবে ওই নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন। ওই নারী বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায়। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।
ওই নারীর বরাত দিয়ে রাজপাড়া থানার ওসি আরও জানান, শনিবার সকালে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এ সময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এ ছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।
ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু পর্ণো ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নারী আইনজীবী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে চিকিৎসক পুলিশের কাছে দাবি করছেন, জোর করে নয়। প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের। তবে এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
Leave a Reply