সম্বল বলতে আছে থালা, বাটি ও কম্বল Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: মাঠ প্রশাসনে ডিসি পদে রদবদল শুরু ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে মহোৎসব: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশে ভূমিকম্প, বাংলাদেশ কাঁপল নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে – মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ জাকসুতে শিবিরের চমকপ্রদ উত্থান, ছাত্রদলের ভরাডুবি! পটুয়াখালী নয়, বরিশাল পর্যন্ত রেলওয়ের প্ল্যান : নৌ-উপদেষ্টা জামায়াত মুসলিম ব্রাদারহুড নেটওয়ার্কের অংশ: হর্ষ বর্ধন ডাকসু নির্বাচনে নতুন রাজনৈতিক ম্যাট্রিক্স: ব্যারিষ্টার ফুয়াদ অবরুদ্ধ গাজায় দুর্ভিক্ষ-হামলা মিলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিকল্প নেই: প্রধান উপদেষ্টা




সম্বল বলতে আছে থালা, বাটি ও কম্বল

সম্বল বলতে আছে থালা, বাটি ও কম্বল

থালা, বাটি ও কম্বল




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বহুল আলোচিত নাম সাহেদ, আরিফ, ডা. সাবরিনা ও পাপিয়া। প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে বিলাসী জীবন ছিল তাঁদের। ব্যবহার করতেন দামি গাড়ি। থাকতেন রাজকীয় ফ্ল্যাটে। এয়ারকন্ডিশনার ছাড়া জীবন ভাবতেই পারতেন না তাঁরা। সেই তাঁরা বর্তমানে তীব্র গরমের মধ্যে সাধারণ বন্দির জীবন কাটাচ্ছেন কারাগারে। সেখানে তাঁদের সম্বল বলতে আছে কারাগার কর্তৃপক্ষের দেওয়া থালা, বাটি ও কম্বল।

 

 

প্রতারণা করে বিপুল বিত্ত গড়েন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ। করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে জেলে যেতে হয় তাঁকে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন তাঁর সম্বল একটি বালিশ, তিনটি কম্বল, থালা আর বাটি।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণে সাহেদকে রাখা হয়েছে একটি সেলে। কোনো দিন সকালে মিলছে খিচুড়ি, কোনো দিন গুড় দিয়ে রুটি। সাহেদ যে সেলে থাকেন, সেখানে একটি সিলিং ফ্যান রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে সেই ফ্যানে খুব একটা কাজ হয় না। ফলে সারাক্ষণ হাঁসফাঁস করতে থাকেন সাহেদ। রাতের বেলায় সেলে একা থাকতে ভয় পান। এ কারণে তাঁর সেলের সামনে একজন কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। কারাগারে অনেকটা চুপচাপ থাকছেন তিনি।

 

 

একইভাবে করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার দায়ে জেকেজির আরিফ এবং তাঁর স্ত্রী ডা. সাবরিনাও কারাগারে। আরিফকেও রাখা হয়েছে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে তাঁকে রাখা হয়েছে অন্য বন্দির সঙ্গে সাধারণ সেলে। জানা গেছে, কারাগারে সাহেদের বিপরীত চিত্র আরিফের মধ্যে। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করে অতিষ্ঠ করে তুলছেন অন্য বন্দিসহ কারারক্ষীদের। গরম সহ্য করতে না পেরে গালাগাল পর্যন্ত করছেন। নিজের বাড়ির মতো করে থাকতে চান কারাগারে। সম্ভব না হওয়ায় পাগলামো করছেন। কারাগারের নিয়ম-কানুন অমান্য করতে চান। দাপট দেখানোর চেষ্টা করেন। কারাগারের খাবার নিয়ে করেন চিৎকার-চেঁচামেচি।

 

 

ফলে তাঁর সঙ্গে অন্য বন্দিরা থাকতে অনীহা প্রকাশ করছেন বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁদের সাধারণ বন্দির মতোই রাখা হচ্ছে। বাড়তি কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। উপায়ও নেই।

 

 

ডা. সাবরিনাকে রাখা হয়েছে কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে। গত ১২ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাবরিনা জাতীয় হৃদেরাগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক। টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ ডা. সাবরিনা, তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণে কারাগারে সাবরিনাকে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি চুপচাপই থাকেন। আয়েশি জীবনে অভ্যস্ত ড. সাবরিনাকেও কারাগারে ফ্লোরেই থাকতে হয়। স্বামীর মতোই একটি বালিশ, তিনটি কম্বল, থালা ও বাটি এখন তাঁর সম্বল। কারাগারের নিয়ম মতোই পান তিন বেলা খাবার।

 

 

প্রতারণা, অবৈধ অর্থ পাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক কারবার এবং অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেই থেকে কারাগারেই কাটছে তাঁর জীবন। তাঁকেও রাখা হয়েছে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে। পাপিয়া ছিলেন উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত। তবে কারাগারে অনেক শান্ত থাকছেন তিনি। যে আচরণ তিনি বাইরে থাকতে করতেন, সে আচরণ সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে। আলোচিত দুই নারী ডা. সাবরিনা ও পাপিয়া একই জেলে থাকলেও আলাদা সেলে থাকায় তাঁদের মধ্যে দেখা হয় না বলে জানা গেছে।

 

 

কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার আনোয়ার হোসেন বলেন, কারাবন্দিদের যে নিয়মে রাখা হয়, সেভাবেই সাবরিনা ও পাপিয়াকে রাখা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD