বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মো. বাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি আসন্ন ঈদ উল আযহাকে ঘিরে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমিসহ সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। এককথায় কোরবানির ঈদের ছুটিতে রোগীদের চিকিৎসা শতভাগ নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের ইতিমধ্যে হাসপাতালে সকল পরীক্ষা-নীরিক্ষা যথানিয়মে করা হচ্ছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে কোন গাফিলতির বিষয় নেই এখানে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে শরীর জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই যেন রোগীরা সরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের স্মরনাপন্য হন। জায়গার সংকট থাকলেও সরকারি হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের মাধ্যমে সরাসরি চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জরুরী সেবা হিসেবে দক্ষিনাঞ্চলের সর্বোবৃহত এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। সাধারণ স্যালাইনও যথেষ্ট রয়েছে, তবে শঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কায় আজই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো স্যালাইন আমাদের হাসপাতালে দ্রুতসময়ের মধ্যে দেয়ার জন্য বলেছি। যে সব ওয়ার্ডে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, সেসব ওয়ার্ডে আজ থেকে বাফার স্টোক রিজার্ভ রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী ওয়ারর্ডগুলোতে রিজার্ভ রাখা হবে। এতে করে নতুন কোন রোগী আসলে তাৎক্ষনিক তাকে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দেয়া সম্ভব হবে।
তবে বারবার বলবো, ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসায় এটি ভালো হয়। যে দুজন আজ শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন তারা ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দেয়ার পরও অনেক বিলম্ব করে হাসপাতালে এসেছেন। আর তাদের ডেঙ্গুর বিষয়টি ঢাকায় বসে সনাক্ত হওয়ার পরও তারা বাড়িতে চলে এসেছিলেন। এদিকে হাসপাতাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ২৫ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৯ জন মহিলা ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছেন। আর এ পর্যন্ত শেবাচিম হসপাতালে মেটা ৬৪ জন রোগড়ী ভর্তি হয়েছেন এবং ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং ২ জন যুবক মৃত্যু বরণ করেছেন।
Leave a Reply