সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
এম. কে. রানা॥ টানা বর্ষণ আর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বরিশাল নগরীতে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর কীর্তনখোলার জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট এমন পরিস্থিতি আরও ২/১ দিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ভ্যাপসা গরমের পর এমন বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে নাগরিক জীবনে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর স্টেডিয়াম কলোনি, কেডিসি, নামারচর, ভাটারখাল, পোর্টরোড, পলাশপুর, রসুলপুরের পাড়া-মহল্লা, সাগরদী, রুপাতলী হাউজিং, আলেকান্দা, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, কালুশাহ সড়ক, কাউনিয়া খালপাড় সড়ক ও ভাটিখানার অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই প্লাবিত হয়। বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেকায়দায় পড়েন। যদিও ভাটার টানে আবার পানি নেমে যাচ্ছে দ্রুতই। তবে ঘণ্টা দুয়েকের স্থায়ীত্বকালের এমন পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর জনজীবন।
এদিকে বারবার জলাবদ্ধতার কবলে পড়া নিন্মাঞ্চলের বাসিন্দাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অবশ্য বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণে ইতিমধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করেছে বিসিসি। এমনকি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ইতিমধ্যে শোকজও করা হয়েছে। তবে নির্বিচারে নগরীর খাল-জলাশয় ভরাট করায় সহসাই এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলছে না এমনটিই ধারণা সচেতন মহলের।এদিকে কীর্তনখোলার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ১৫ সেন্টিমিটার। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কীর্তনখোলার পানির প্রবাহ ছিল ২.৭০ মিটারে। স্বাভাবিক অবস্থায় এ উচ্চতা ২.৫৫ মিটারে থাকে বলে জানিয়েছেন কীর্তনখোলার গেজ রিডার আবু রহমান।
অপরদিকে লঘুচাপের কারণে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রুবেল জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৫৯ মিলিমিটার। গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বৃষ্টিপাত আরও ২ থেকে ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply