মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড় থেকে এলএসডি ঘাট পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় গর্ত। বর্ষার মতো শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের গর্তে পানি থাকে। এক পশলা বৃষ্টিতেই পানি জমে যায় সড়কে, ভোগান্তিতে পড়েন গাড়ির চালক ও পথচারীরা। গত ১৫ বছরে একবারও সংষ্কার করা হয়নি।
জানা যায়, সড়কটি বহুবছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় নৌপথে এলএসডি ঘাটে আসা সরকারি চাল ও গম খাদ্য গুদামে নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গাড়ি চালকদের। এ ছাড়াও স্থানীয়ও ব্যবসায়ীদের জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে নৌপথে আনা মালামালও এই ঘাট থেকেই আনা-নেওযা করা হয়। গত পনের বছর আগে শেষবার এই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর অজানা কারণে তা আর সংষ্কার করা হয়নি।
এই সড়কেই রয়েছে রাজাপুর ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসাসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অর্ধ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চারটি করাতকল ও দুইটি অটো রাইস মিল। উপজেলা সদরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ব্যবহার করেন কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘উপজেলা সদরের মধ্যে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল এই সড়কটি ব্যবহার করেই এলএসডি ঘাটে আনা-নেওয়া করেন। তাই সড়কটি জরুরিভিত্তিতে সংষ্কার করা প্রয়োজন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, ‘সড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এখান থেকে কোন গাড়ি গেলে আমাদের দোকানের ভেতর পানি প্রবেশ করে মালামাল সব নষ্ট হয়ে যায়। সড়কটিতে বর্ষামৌসুমে সব সময় কাঁদা-পানি থাকায় আমাদের দোকানগুলোতে ক্রেতা আসতে চায়না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
রিক্সা চালক মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কের সঙ্গে এই সড়কটির সংযোগ রয়েছে। সড়কটি সংষ্কার হলে উপজেলা সদরের মূল সড়কে যানবাহনের চাপ কমবে।বর্ষা ছাড়া নদীতে পানি না থাকলেও এই সড়কের গর্তে পানি থাকে সারা বছর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলি মো. গোলাম মোস্তফা বলেন,‘উপজেলাজুড়ে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা খুঁজে খুঁজে গ্রামপর্যায়েও সড়ক ও সেতু নির্মোণ করছি। অথচ উপজেলা সদরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কথা কেউ আমাদের কখনও বলেননি। যেহেতু এখন জানলাম, দ্রুত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেব।
Leave a Reply