বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরিণত করবে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে চরম জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তীব্র তাপমাত্রা, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, উপকূলীয় এলাকায় অতিরিক্ত লবণাক্ততা—সব মিলিয়ে দেশের কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। পরিবারিক পর্যায়েও বিপদের ঝুঁকি বাড়বে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, “জলবায়ু অভিযোজন ব্যয়বহুল হলেও এটি অপরিহার্য। বাংলাদেশের অনেক নীতি রয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।” তিনি জানান, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় তথ্য সংগ্রহ, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং শক্তি খাতকে আরও টেকসই করতে বিনিয়োগ বাড়ানো খুব প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু প্রস্তুতি জোরদার করতে বেশ কিছু পাইলট প্রকল্প চলমান আছে, এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে একটি জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়াকে দ্রুত অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে না পারলে মানবিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় ব্যাপকভাবে বাড়বে।
বাংলাদেশের মতো নিম্নভূমির দেশগুলোর জন্য এটি বিশেষ সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply