রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈশাখ মানেই আনন্দ, বৈশাখ মানেই উৎসব, ঘুরাঘুরি আর শুকনো মরিচের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের ঐতিহ্যবাহী সকাল। না, এ সবকিছুকে ছাপিয়েও বৈশাখের বড় অনুষঙ্গ রংবেরঙের পোশাক। পয়লা বৈশাখে পছন্দের পোশাকটি বাছাই করতে বরিশালের শপিং মলগুলোতে এখন ক্রেতাদের ভিড়। প্রত্যেকেই নিজস্ব রুচির পোশাকটি কিনে নিতে ব্যস্ত। তবে মূল বেচাবিক্রি শুরু হবে বৈশাখের আগের দুদিন। এখন ক্রেতারা দেখছেন বেশি, সেই তুলনায় কিনছেন কম। এদিকে বিক্রি জমেছে মূল্য হ্রাসের দোকানে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মূল্যহ্রাস ব্যানারে নগরীর অভিজাত বিপনীবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতে দোকানীরা সাজিয়ে বসেছেন পোশাকের পসরা।বিক্রিও চলছে দেদারছে। আর মাত্র দিন তিনেক পরই বাংলা নতুন বছরের শুরু। আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি বরণ করে নেবে ১৪২৬ সনকে।সকালবেলায় পাতে থাকবে পান্তা-ইলিশ, পরনে নতুন বৈশাখি পোশাক। এই পোশাকের জোগান দিতে বরিশালের মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলো আমদানি করেছে বর্ণিল রং ও নকশার পোশাক।রয়েছে পুরান ব্রান্ডের পন্য বিক্রির ধুম।
মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট ও চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা মিলেছে বৈশাখি কেনাকাটার ব্যস্ততা। পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে ব্যবহার্য জিনিস দেখতে ও ক্রয় করতে ব্যস্ত ক্রেতারা। দম ফেলতে পারছেন না বিক্রতারাও। মূল্য হ্রাসের দোকানের বাইরে বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পোশাকের বাজারে এবার সাদা রঙের দাপট। তবে লাল-সাদা রঙের পোশাকের আবেদন আগের মতোই আছে। উজ্জ্বল রঙের পোশাক-পরিচ্ছদের উপস্থিতিও বেশ নজর কাড়ে। মজার কথা হলো বরিশালে মূল্য হ্রাসের দোকানে বিক্রির দাপটে নতুন পোশাকের পসরা সাজানো বিক্রেতারা হতাশ হয়ে পরেছেন। অনেকেই বলেছেন, মুল্য হ্রাসের কারণে নতুন ডিজাইনের পোশাকও অনেকে কম দামে ক্রয় করতে দরদাম করেন।
বিক্রেতারা বলছেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সপ্তাহখানেক আগে থেকে দোকানে কিছু পোশাক তুলেছেন অভিযাত দোকানীরা। আর মূল্যহ্রাস দিয়ে পুরানো ব্রান্ডের পন্য বিক্রি করছেন অধিকাংশ দোকানীরা। অভিযান কিছু দোকানে কথা বলে জানা গেছে, বিক্রিবাট্টা এখনও তেমন জমেনি। বৈশাখির ২ দিন আগে মূল কেনাবেচা শুরু হবে বলে প্রত্যাশায় আছেন ব্যবসায়ীরা। চন্দ্রিবন্দু শপিংসেন্টারের সেলসম্যান ইউনুস শরীফ বলেন, ‘আমরা বৈশাখির পোশাক মোটামুটি ভালোই কালেকশনে রেখেছি। তবে তেমন ক্রেতারা আসছে না। বৈশাখের দুদিন আগে থেকে বেচাকেনা বাড়বে।’ ফাতেমা সেন্টার, প্লাস পয়েন্ট, ক্যাটস আই, পোশাক বাজার ঘুরেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।
পোশাকে বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন গান-কবিতার লাইন, প্রাণী, ফুল, লতা-পাতা, নারীর অবয়ব, তালের পাখা, ঢাকঢোলের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকের ডিজাইনে। কোনও কোনও পোশাকে আবার গ্রামীণ বাংলার চিরায়ত দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। হাজী মোহাম্মদ হকার্স মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, ‘প্রতি ঈদের মত পহেলা বৈশাখেও আমরা ভালোই ব্যবসা করে থাকি। তাই আগেভাগে বৈশাখি পোশাক এনে রেখেছি।
বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও তেমন ক্রেতা আসছে না। যারা আসছেন দাম দর করে চলে যাচ্ছেন। তবে টুকটাক বিক্রি শুরু হয়েছে। দিন গেলেই বাড়বে।’ চকবাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম পসরা সাজিয়ে বসেছেন মুল সড়কের পাশে। তিনি বলেন, ‘মূল্য হ্রাসে যে ধরনের কাপড়ই আনি না কেন সব শেষ হয়ে যায়।
Leave a Reply