মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ চরফ্যাশনে আকস্মিক ঝড়ে ৪টি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি-শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে গ্রাম গুলির ৫শত পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসময় মাছের খামার ও পাকা ধানসহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এলাকাবাসি জানিয়েছে, আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ৪টি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। বুধবার রাত ১০টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বেশকিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
মূলত, বুধবার (২৮ মে) রাতে উপজেলার উপর দিয়ে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলার আবুবক্করপুর, নীলকমল, নুরাবাদ ও চমানগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
নীলকমল ইউনিয়নের চরতোফাজ্জল গ্রামের মাসুদ সিকদার জানান, বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের গ্রামে তার নিজের ঘরসহ অনেক ঘরবাড়ির চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
আবুবক্করপুর গ্রামের আবুলখায়ের জানান, তার ঘরের উপর একটি বড় গাছ উপরে পড়ে গেছে। এতে তার দুটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি নিজেও পরিবারসহ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাতার জানান, গত রাতের আকস্মিক ঝড়ে আমার এলাকার নিরিহ পরিবারের ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে গ্রামটির ৫শত পরিবারের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান রাজিব বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার আবুবক্করপুর, নীলকমল, নুরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। এছাড়া ৪০/৫০টি স্পটে তার ছিড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে গ্রামাঞ্চলে সংযোগ দিতে সময় লাগবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু হাসনাইন বলেন, কালবৈশাখী ও বৃষ্টিতে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিচুলহক জানান, ক্ষতির পরিমান নির্ধারণে কাজ শুরু করা হয়েছে।
Leave a Reply