সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দেয়া চিঠি ইতিবাচক পদক্ষেপ। সংলাপ রাজনৈতিক বৈরিতাকে প্রশমিত করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করে আনে। অতীতের মত সংলাপ সফল না হলে রাজনৈতিক সঙ্কট প্রকট হতে পারে। রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে নিবন্ধিত ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য জোট ও দলগুলোর সাথেও সংলাপ জরুরি।
গতকাল বুধবার একটি পত্রিকাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর সাহেব বলেন- সংলাপে একটি সম্মানজনক সমাধান বের হয়ে আসবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। তিনি বলেন- সংলাপে উভয়পক্ষ কঠোর অবস্থান থেকে বের হয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।তিনি বলেন- গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। ইসলামী আন্দোলন গত ৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের বৃহত্তম মহাসমাবেশের মাধ্যমে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে। গত ১৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের নিকট ১০ দফা বাস্তবায়নে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এই ১০ দফা মেনে নিলে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আজকের সংলাপের প্রয়োজন হতো না। সুতরাং বঙ্গভবনের সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সংলাপকে অর্থবহ করতে হবে।
পীর সাহেব সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে ভয় ও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে সংলাপের মাধ্যমে তার অবসান ঘটিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইভিএম পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তে আসতে হবে সংলাপে।
সংলাপ সফল না হলে সংঙ্কট আরও বাড়বে : চরমোনাই পীর
বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
১:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০১৮
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দেয়া চিঠি ইতিবাচক পদক্ষেপ। সংলাপ রাজনৈতিক বৈরিতাকে প্রশমিত করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করে আনে। অতীতের মত সংলাপ সফল না হলে রাজনৈতিক সঙ্কট প্রকট হতে পারে। রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে নিবন্ধিত ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য জোট ও দলগুলোর সাথেও সংলাপ জরুরি।
গতকাল বুধবার একটি পত্রিকাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর সাহেব বলেন- সংলাপে একটি সম্মানজনক সমাধান বের হয়ে আসবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। তিনি বলেন- সংলাপে উভয়পক্ষ কঠোর অবস্থান থেকে বের হয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন- গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। ইসলামী আন্দোলন গত ৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের বৃহত্তম মহাসমাবেশের মাধ্যমে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে। গত ১৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের নিকট ১০ দফা বাস্তবায়নে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এই ১০ দফা মেনে নিলে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আজকের সংলাপের প্রয়োজন হতো না। সুতরাং বঙ্গভবনের সংলাপে অংশগ্রহণকারীদের শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সংলাপকে অর্থবহ করতে হবে।
পীর সাহেব সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে জনমনে যে ভয় ও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে সংলাপের মাধ্যমে তার অবসান ঘটিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি এবং নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইভিএম পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তে আসতে হবে সংলাপে।
ইসলামী আন্দোলনের মহসমাবেশে ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে রয়েছে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের পর থেকে সেনা মোতায়েন এবং নির্বাচনের দিন তাদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া, রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারী-বেসরকারী গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহার, দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা।পীর সাহেব চরমোনাই উল্লেখিত দাবিগুলো সংলাপে উত্থাপন এবং মেনে নেয়ার দাবি জানান।
Leave a Reply