সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা নির্বাচনী সহিংসতা বেড়ে গেছে। নির্বাচনী প্রতিহিংসায় মারধর, নির্যাতন, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, কুপিয়ে জখম, বাড়ি-ঘরে হামলা,এমনকি আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও দখলের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষ থেকে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।পুলিশ বলছে, নির্বাচনী সহিংসতা নয়, পারিবারিক ও দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আনারস প্রতীকের স্বতন্দ্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান কোক্কা সোমবার দুপুর ১টায় নির্বাচন পরবর্তী কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট বন্ধ করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেন।এসময় তিনি বলেন, উপজেলার চাকামইয়া, ধানখালী, চম্পাপুর, নীলগঞ্জ, বালিয়াতলী, লালুয়া ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র থেকে তার নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
তবে নৗকা প্রতীকের প্রধান এজেন্ট ও কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, এতো সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন ইতোপুর্বে আর হয়নি। এছাড়া হামলা মারধরের কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা। উল্টো আওয়ামী লীগের মহিপুর অফিসে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালায়। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা নুর ইসলাম হাওলাদার ও তার ছেলেসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে।কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহিপুর থানার ওসি মো.সাইদুল ইসলাম জানান, মহিপুরে সৃষ্ট ঘটনা নির্বাচনী সহিংসতার কোন বিষয় নয়। এটি হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই সহোদরের দ্বন্দ্বের জের।এসকল বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ওসি।
Leave a Reply