বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া বানাতিবাজার সংলগ্ন আয়রন ব্রিজটি সিমেন্টের স্লাব ভেঙ্গে যায় এবং লোহার অ্যাঙ্গেল গুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় মৃত্যুফাঁদ পরিনত হয়েছে ব্রিজটি। স্থানীয়রা ব্রিজের নিচে বাঁশ বেধে পিলার সোজা করে জোড়া দিয়েছেন। উপড়ের অনেক লোহার এঙ্গেল মরিচা পড়ে বাকা হয়ে গেছে। ব্রিজর কংক্রিটের স্লব গুলো আলাদা ভাগ হয়ে গেছে। অনেক স্লাব ভেঙে নিচে পড়ে গেছে।
লোহার পাতগুলো নিচের দিকে ঝুঁকে বাকা হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। সব এ্যাঙ্গেল জীর্ন দশায় পরিণত হয়েছে। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের দশটি গ্রমের সাথে বানাতী বাজারের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিটি এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ কারনে দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
স্থানীয় লোক জানান , স্থানীয় সরকার প্রকৌশ অধিদপ্তর প্রায় পঁচিশ বছর আগে বানাতি পাড়া খালের উপর এ বিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পড়ে এ ব্রিটি সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণে উদ্যোগ নেয়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বানাতীপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ব্রিজ পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করেন। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের মাঝের হাওলা, গোলবুনিয়া, চিংগুড়িয়া, মহল্লাপাড়া, নয়াপাড়া, দশকানী, মরিচবুনিয়া, ছোনখোলা, পশরবুনিয়া ও চড়পাড়া গ্রামের মানুষের সড়ক পথে উপজেলা সদর বানাতী বাজার হাটখোলায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ বিজ্রটি। দীর্ঘ দিনে মেরামত কিংবা পুনঃনির্মাণ না করায় ব্রিটি ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পরতে পারে ব্রিটি। তারপরও কোন উপায় না পেয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। এতে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে মটরসাইকেল ছাড়া চলতে পারে না কোন যানবাহন। তাই অসুস্থ্য রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় ট্রলার কিংবা নৌকায় করে।
রহিমউদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা মো. নিজাম প্যাদ্যা জানান, যেকোন সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। অথচ এটি নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতি আক্তার বলেন, ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে আসার সময় অনেক ভয় হয়। এছাড়া অনেক সময় অসাবধানতা বসত হাত থেকে কলম কিংবা বই খাতা ব্রিজের নিচে পানিতে পড়ে যায়।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিজ নির্মাণের লক্ষে উপজেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমার নিজ অর্থায়নে ব্রিজ সামান্য মেরামত করা হয়েছে। তবে নির্মাণের আগ পর্যন্ত এ ব্রিজ দিয়ে শুধু মানুষ ছাড়া কোন যানবাহন চলতে পারবে না।
কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলৗ (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মান্নান বলেন, উপজেলার লালুয়া বানাতিবাজার সংলগ্ন আয়রন ব্রিজটি অনুমোধন হয়েছে এখন শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। টেন্ডার হয়ে গেলে কাজ শুরু করা হবে।
Leave a Reply