বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনায় মানুষের চলাচল কমেছে। অনেকেই প্রয়োজন ব্যাতীত বের হচ্ছেন না। আর এর প্রভাব পড়েছে গণপরিবহন থেকে শুরু করে লঞ্চে। করোনার আগে যেখানে ঢাকা থেকে ৮০টির মতো লঞ্চ ছেড়ে যেত, এখন সেখানে চলাচল করে মাত্র ৬০টি লঞ্চ। সংশ্লিষ্টদের মতে লঞ্চের যাত্রীও কমেছে শতকরা ৭০ ভাগ। যাত্রী কমে যাওয়ায় অনেকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন মালিকরা। তবে, অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন ভাবনাও ভাবছেন অনেকে। কারো কারো মতে, আগের তুলনায় ভাড়া কিছুটা বাড়াতে পারলে ক্ষতি তুলনামূলক কমতো।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ জানান, করোনার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল টানা ৬৬ দিন। ২৮ দিন ধরে তারা লঞ্চ চালাচ্ছেন, কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। অধিকাংশ লঞ্চের কেবিন থাকছে ফাঁকা। ডেকেও সেভাবে যাত্রী নেই। যে পরিমাণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে, তাতে তেলের খরচই উঠছে না। যাত্রী কমার কারণে বেশ কয়েকটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কত দিন এভাবে চালাতে পারবেন, তারা সেটি জানেন না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি জানান, করোনার কারণে লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যাত্রী কমার কারণে অনেক রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। করোনার কারণে মানুষ যাতায়াত করছে কম। তবে বাস-ট্রেনের তুলনায় লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি।
Leave a Reply