শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ‘খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে’কথাটা বলার পরেই ফোনটা কেটে গিয়েছিল। এর পরে আর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বাবা। শেষে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন ওই তরুণীর ভাই। খবর পেয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে হাওড়ার শালিমারের ঘটনা। কয়লা ডিপো এলাকায় থাকেন বাসু বারিক। তাঁর স্ত্রী তাপসী বারিক আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ দিন সকাল থেকে শরীর খারাপ লাগলেও জেলা হাসপাতাল বন্ধ থাকায় চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি। বাসু বলেন, ‘‘দুপুরে যন্ত্রণা খুব বেড়েছিল। তাই গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ করতে বাইরে বেরিয়েছিলাম।’’ ফলে সেই সময়ে বাড়িতে একাই ছিলেন তাপসী।
প্রতিদিনের মতো মেয়ের খোঁজ নিতে দুপুর ২টো নাগাদ নন্দীগ্রাম থেকে তাপসীকে ফোন করেন তাঁর বাবা লক্ষ্মীকান্ত সামন্ত। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ের কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। বলেছিল জামাই গাড়ি খুঁজতে গিয়েছে। কয়েকটা কথা বলার পরেই ফোন কেটে যায়। আর লাইন পাচ্ছিলাম না।’’ মেয়ের কী হল তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন লক্ষ্মীকান্তবাবু। সেই সময়ে তাপসীর ভাই স্বপন ইন্টারনেট থেকে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন।
হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (ট্র্যাফিক) অশোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই যুবকের থেকে তাপসীর ঠিকানা নিয়ে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ পুলিশের ‘কিরণ’ অ্যাম্বুল্যান্স সেখানে পাঠানো হয়। কয়লা গোলা এলাকায় গিয়ে কর্মীরা দেখেন, ঘরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তাপসী। বাসু ফিরলেও, তিনি কোনও গাড়ির বন্দোবস্ত করতে পারেননি। তখন ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে লক্ষ্মীনারায়ণতলায় দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই তরুণী।সাহায্য: পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামানো হচ্ছে তাপসী বারিককে
Leave a Reply