শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীতে দুই শিশু খেলার সময় এক শিশু আহত হওয়ায় অপর শিশুর বাবাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার আমতলী সহকারী জজ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শিশু দুজন হল আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার আবু হানিফের ছেলে হামিম ও একই এলাকার বাহাদুর খানের ছেলে মো. আলিফ।
জানা যায়, হামিম ও আলিফের বাসা পাশাপাশি হওয়ায় তারা সারাক্ষণ এক সঙ্গেই থাকে। পারিবারিক ভাবেও তাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েরে। গত একমাস আগে বাড়ির উঠানে বসে খেলছিলো হামিম ও আলিফ, একপর্যায়ে ঝগড় হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে হামিমের চোখে আঘাত লেগে হামিম আহত হয়। এরপর আলিফের পরিবার হামিমকে চিকিৎসা করায়।
ঘটনার একমাস পর হামিমের মা মাইসুরা বাদী হয়ে আলিফের বাবা বাহাদুর খানসহ আরো চারজনকে আসামি করে আমতলী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার আলিফের বাবা বাহাদুর খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আলিফের চাচা এইচএম জুয়েল বলেন, সামান্য বিষয়টা তারা আদালত পর্যন্ত নিয়ে গেছে। স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা হামিমের চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিলাম। তবুও তারা মামলা উঠিয়ে নেয়নি। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে আলিফ ও তার বাবা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায় হাতকড়া পরিহিত বাবাকে জরিয়ে ধরে আছে শিশু আলিফ। ছবিটি ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
স্থানীয় সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবক কাওসার আহমেদ বলেন, বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। শিশুরা ঝগড়া করবে আমার মিশবেও, তবে তাদের ঝগড়া দিয়ে পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা তাহলে শিখবে টা কি! শিশুরা শেখে তাদের পরিবার থেকে। পরিবার সচেতন হলে শিশুরা ভালো মানুষ হবে।
এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড (সবুজবাগ) কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন ফরহাদ বলেন, বিষয়টি শুরু থেকেই জানি। ওরা দুজনেই শিশু, খেলার ছলে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে একজন মামলা পর্যন্ত যাওয়া ঠিক হয়নি। আমিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজন হামিমের পরিবারকে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা আমাদের আস্বস্ত করেও মামলা আর উঠায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে হামিমের পরিবারের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply