শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: তিনজন কিশোর মিলিতভাবে যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল তার উপর। করেছিল প্রচণ্ড মারধরও। সেই নির্যাতনের পাঁচ দিন পর থেকে সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয় বছর ১৫-র সেই কিশোরের। কিন্তু ছেলের সৎকারের মতো টাকা ছিল না রিক্সাচালক বাবা-মায়ের কাছে। তাই ছেলের দেহ তারা ফেলে দিয়েছিল নির্জন জায়গায়। এই ঘটনা সামনে এল শনিবার, যখন প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে এসে দেখা পেলেন না যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া সেই কিশোরটির।
সম্প্রতি এই ঘটনায় ঘটেছে গুরুগ্রামের অশোক বিহার এলাকায়। আর এই ঘটনার পরই এমন কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠল যার জেরে অস্বস্তিতে পুলিশ প্রশাসন। শনিবার প্রতিবেশীরা স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে ওই কিশোরের বাড়িতে আসে। এসে তাকে দেখতে না পেয়ে তার বাবা-মা কে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু ওই কিশোরের বাবা-মায়ের অসংলগ্ন জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। প্রতিবেশীরা। তার পরই তাঁরার খবর দেয় স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যকে।
তার পরই বিষয়টি সামনে আসে। খবর যায় পুলি ছেলের দেহ সৎকার না করে ফেলে দেওয়ার প্রসঙ্গে ওই কিশোরের বাবা বলেছেন, ‘‘যৌন নির্যাতনের পর পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। আইনি পথে গিয়ে লড়াই করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই আমরা ওর দেহ ফেলে দিয়ে আসি।’’ ওই কিশোরের বাবা পেশায় রিক্সাচালক। ছেলের মৃত্যুর পর তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিলে ছেলের দেহ রিক্সা করে নিয়ে খেরকিধৌলার নির্জন এলাকায় ফেলে দিয়ে আসেন।
এর পর খেরকিধৌলার ওই এলাকায় খোঁজ চালিয়ে কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তখনও পুলিশের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী পুজার। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দেহ উদ্ধারের পর পুলিশে খবর দেওয়া হলেও তারা আসেনি। এর পর স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা ফোন করে পুলিশকে। তারপর পুলিশ আসে নির্যাতিতর বাড়ি।এই ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কিশোরকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে। কিশোরের মৃতদেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর ওই তিন জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন গুরুগ্রাম পশ্চিম জোনের ডিজিপি সুমের সিংহ।সুত্র,আনন্দ বাজার
Leave a Reply