শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় স্বামী মনিরুল আহসানকে গ্রেফতার করেছে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। মনিরুল আহসান তালুকদার (৫৫) বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডের মুসলিমপাড়া এলাকার মৃত আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন তালুকদারের পুত্র সে। স্ত্রী মলি আহসান তালুকদার বাদী হয়ে সোমবার ( ৬জুলাই) কেরানীগঞ্চ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার নং ১০।
মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্চ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) জহিরুল ইসলাম। রবিবার (৫জুলাই) স্ত্রী মলি আহসান তালুকদার একটি লিখিত অভিযোগ দেন। মনিরুল আহসানকে সোমবার সকালে রাজধানীর বনশ্রী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন স্ত্রী মলি বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার মেয়ে মলির পরিচয় হয় বাংলাদেশি মনিরুল আহসান তালুকদারের সঙ্গে। এরপর দুইজনের সম্পর্ক ভালোবাসায় গড়ায়। এরপর বিয়ে। মলি জানান, ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে স্বামীর কথামত হিন্দু ধর্মত্যাগ করে তিনি।
নাম রাখা হয় মলি আহসান তালুকদার। এরপর দুইজনের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। এভাবে কেটে যায় প্রায় সাত বছর। মলি জানান, গত বছরের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন স্বামী মনিরুল আহসান তালুকদার। এরপর আর ভারতে ফিরে যায়নি। যোগাযোগও করেনি। তাই স্বামীর খোঁজ নিতে তিনবার আসেন বাংলাদেশে।
সবশেষ ১৩ মার্চ আবারও বাংলাদেশে আসেন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বামীর ঠিকানার সন্ধান পান। বাসায় গিয়ে দেখেন এখানে তার বউ সন্তান রয়েছে। মনিরুল তাকে দেখে অবাক হন। অস্বীকার করেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক । বিষয়টি সমাজের সচেতন মানুষদের জানানো হলে তার মীমাংসার পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন।
কিন্তু এ তিন মাসেও কোনো সুরাহা হয়নি। প্রথমে কিছুদিন স্বামীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলেও এখন সেটিও বন্ধ। মলির অভিযোগ, তিনমাসের বেশি সময় ধরে ঢাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। কলকাতাতেও ফিরে যেতে পারছেন না লোকলজ্জার ভয়ে। নিজের সঙ্গে এমন প্রতারণার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
মলি আরও জানান, তার বাবা চট্টগ্রামের। মা কলকাতার। তাদের দুই জায়গায় বাড়ি রয়েছে। গার্মেন্টের ব্যবসা করেন তিনি। তার স্বামী বরিশাল মহানগর বিএনপি’র সহ সভাপতি মনিরুল আহসান তালুকদার। সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে পালিয়ে কলকাতায় গাঁ ঢাকা দেয়।
তখনই তাদের বিয়ে হয়। এই ভুক্তভোগী নারী জানান, তার সরলতার সুযোগে তার কাছ থেকে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন তার স্বামী। সেগুলো ফেরত দেয়নি। তিনি জানান, টাকা নয়, স্বামীর অধিকারের দাবি নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তিনি। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মনিরুল আহসান তালুকদারকে আদালতে প্রেরন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply