বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শওকত ওসমান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোরাপাড়ার হাপানিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৭ মার্চ) শওকত ওসমানের বাবা জহির আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীকে পরনের শাড়ির আঁচল দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন সুদ কারবারি শওকত ওসমান। এ সময় তিনি বাঁধন খুলে দিতে বলেন। শওকত উল্টো কিল-ঘুষি মারেন। আরেকজন বয়স্ক নারী এসে একটি লাঠি দিয়ে ওই নারীকে খোঁচা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে শওকত গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং চুলের মুটি ধরে গাছের সঙ্গে বাঁধেন। এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শওকত ওসমান।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নিয়াজুল ইসলাম বাদল বলেন, কয়েক মাস আগে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য শওকত ওসমানের কাছ থেকে সুদের ওপর চার হাজার টাকা ধার নেন। এরইমধ্যে তিনি সুদ ও আসলসহ আট হাজার টাকা পরিশোধও করেন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শওকত ওসমান আরও দুই হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা বৃহস্পতিবার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মানতে নারাজ শওকত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শওকত ওসমান ওই নারীকে একটি গাছের সঙ্গে পরনে থাকা শাড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন এবং অমানবিক নির্যাতন চালান।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন, ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। আমি চাই এ ঘটনার একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখার পরপরই পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠাই। অভিযুক্ত শওকতকে না পাওয়ায় তার বাবা জহির আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply