মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নগরীর বগুরা রোড এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরধরে আপন ছোট ভাইকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত এক সন্তানের জনক ফরিদ হোসেন খান (৪৫) ওই এলাকার জেসমিন ভিলার বাসিন্দা মৃত এমএ মজিদ খানের পুত্র। আটককৃতরা হল-নিহতের আপন বড় ভাই শাহে আল খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু ও তার পুত্র নবম শ্রেণির ছাত্র সিয়াম খান। নিহতের অপর ভাই জিয়াউর রহমান খান জানান, তারা ১০ ভাই ও ৩ বোন। এদের মধ্যে ফরিদ হোসেন খান তাদের বাড়ির সামনে থাকা একটি দোকান ভাড়া দিতেন। অতিসম্প্রতি স্টলের ভাড়া নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি করে ভাড়াটিয়া কাজাজ হোসেন।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজাজের কাছে স্টলের ভাড়া আনতে যায় ফরিদ হোসেন। এ সময় দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজের সাথে ফরিদের কথার কাটাকাটি হয়। কাজাজ কৌশলে ফরিদের অপর বড় ভাই শাহ আলম খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু, মজিবর রহমান ও ভাতিজা সিয়ামকে ডেকে আনে।
পরবর্তীতে সেখানে ফরিদের সাথে তার অপর ভাইদের তুমুল বাগ্বিতন্ডার একপর্যয়ে শাহ আলম, মফিজুল ইসলাম খান নান্না, মজিবর রহমান, সিয়াম এবং স্টলের ভাড়াটিয়া কাজাজ মিলে ফরিদ হোসেনের উপর হামলা চালায়। তারা পাইপ ও ইট দিয়ে পিটিয়ে ফরিদকে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাকে (জিয়াউর রহমান) মারধর করে। পরে গুরুতর আহত ফরিদকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দোকানের ভাড়ার টাকা নিয়ে দ্বন্ধের জেরধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহতের বড়ভাই অভিযুক্ত শাহে আলম খানকে আটক করেছে।
এ ছাড়া তার অপর ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্নু ও তার পুত্র সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজ ও অপর ভাই মজিবর রহমানকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি (ওসি) উল্লেখ করেন।
Leave a Reply