শেবাচিম হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে দালাল Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




শেবাচিম হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে দালাল

শেবাচিম হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে দালাল

শেবাচিম হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে দালাল




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে দালাল আর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য। নিয়মিত পাওয়া যায় না দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরও।এদিকে মেডিকেলের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কর্মচারীরা জোর করেই রোগীদের নিয়ে যান সামনের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে।

 

 

রোগীর স্বজনরা জানান, রোগীপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বকশিশ না দিলে সেবা তো দূরে থাক, পরীক্ষাগারে ঢুকতেই দেয়া হয় না। হাসপাতালের মেশিন নষ্ট জানিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের যেতে বাধ্য করেন হাসপাতালের কর্মচারীরা।

 

 

হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী নিয়ে গেলে রোগীপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পাওয়া যায়। তাই রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান তারা।

 

এদিকে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসকদের রুমের সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড়। রোগীদের থেকে প্রেসক্রিপশন কেড়ে নিয়ে ছবি তুলে হয়রানির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের রুমের সামনে ক্যামেরার উপস্থিতি টের পেলে দৌড়ে পালান ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

রোগীরা বলেন, কারোর প্রেসক্রিপশন পুরোটাই তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালের প্রতিটি রোগীকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে যাচ্ছে। প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে তারা কী করে জানি না। কিন্তু চিকিৎসকের রুম থেকে বের হওয়ামাত্রই তাদের ছবি তুলতে দিতে হবে, না দিলে তারা হয়রানি করে।

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলেন, কোন চিকিৎসক কী ওষুধ লিখছে, আমরা তা দেখতে রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে থাকি। আমরা কাউকে হয়রানি করি না।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাইভেট ল্যাবে রোগী বাগিয়ে নেয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে দৈনিক গড়ে ২ হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। আর প্রতিদিন বহির্বিভাগে সেবা নেন তিন হাজার রোগী।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD