মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ সোমবার। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
গণতন্ত্র আর ভোটের অধিকার রক্ষায় দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার দাবিতে ২০০৬ সালে আবারো রাজপথে আওয়ামী লীগ। জনদাবি মানতে নারাজ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হলেন জোট সরকারের রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন।উত্তাল আন্দোলন। পদত্যাগে বাধ্য হন ইয়াজউদ্দিন।দৃশ্যপটে এক এগারোর সরকার। সামনে ফখরুদ্দিন। নেপথ্যে মঈনউদ্দিন।গনতান্ত্রিক ধারা ব্যহত করে সেই সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছিল বঙ্গভবনে।
মাইনাস টু ফর্মুলার অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ হাসিনাকে। জনরোষের ভয়ে কারাগারে না রেখে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ কারাগার ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে।
অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেবার দাবী ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। বঙ্গবন্ধু কন্যার আপোষহীনতা, তার দৃঢ়তা আর জনদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
২০০৯ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে জনরায় আসে আওয়ামী লীগের পক্ষে। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে।
Leave a Reply