বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন করা হচ্ছে শুনে নিত্যপণ্যের বাজারে ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া এ কথা শুনে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। এতে বাস ও ট্রেন স্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেছে বাড়তি ভিড়। শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য—চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন। ভিড় বাড়লেও বিকেল পর্যন্ত পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
কারওয়ান বাজার থেকে পণ্য কেনা আশরাফ আলী বলেন, ‘সোমবার থেকে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। তখন পরিস্থিতি কী হবে বলা মুশকিল। এখন যেহেতু আলু, পেঁয়াজের দাম কম আছে তাই কিছুটা বাড়তি কিনে রাখছি। বাংলাদেশের বাজারে কখন কী হয় তার বিশ্বাস নেই।’
মালিবাগ হাজীপাড়া বৌবাজার থেকে বাজার করা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘সরকার যেহেতু লকডাউন দিচ্ছে তাই ১০ কেজি পেঁয়াজ ও ৫ কেজি আলু কিনে রাখছি। কিছুদিন পরেই রোজা। রোজায় পেঁয়াজ ও আলু একটু বেশি লাগে। রোজার আগে যেকোনো মুহূর্তে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।’
বেলা সোয়া দুইটার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজারের দুই পাশে শের শাহ সূরী সড়ক ও শাহজাহান সড়কে সারি সারি দাঁড়ানো ছিল ব্যক্তগত গাড়ি (প্রাইভেট কার)। ব্যবসায়ীরা জানান, ভরদুপুরে সাধারণত এমন ভিড় থাকে না। লকডাউনের খবর শুনেই ক্রেতারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে আসছেন। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কেউ কেউ বলছেন, একদিকে মাসের প্রথম শনিবার, অন্যদিকে সামনের সপ্তাহ থেকে রোজা। অনেকেই মাসের ও রোজার বাজার একসঙ্গে করছেন। তাই ক্রেতা কিছুটা বেশি।
হাতিরপুল বাজারের ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক বলেন, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ইত্যাদির সরবরাহে ঘাটতি নেই। তিনি মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনার কারণে বাসে আসন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক ঢাকা ছাড়তে চাওয়া অনেক যাত্রী। রয়েল বাস কাউন্টারের গাবতলীর ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাল রাত পর্যন্ত সব টিকেট শেষ। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সবাই কাউন্টারে এসে টিকেট কিনে নিয়ে গেছে। ফোনের এত চাপ ছিল যে, আমরা ফোন ধরাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’
এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য লোকজনের ভিড় বেড়েছে। এ কারণে ডেকে ও সিটে ৫০ শতাংশ যাত্রী ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও অনেক লঞ্চ তা পারেনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
Leave a Reply