শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও রাস্তায় মানুষের চলাচল ছিলো চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রথম দিন যেসব চেকপোস্টে পুলিশ বেশ কঠোর মনোভাব দেখিয়ে প্রায় প্রতিটি গাড়ি আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, আজ সেই চিত্র খুব একটা দেখা যায়নি। তবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সব রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।
লকডাউনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছিল কম। কিন্তু দ্বিতীয় দিন (বৃহস্পতিবার) ব্যাংক, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চলাচলও বেড়েছে কিছুটা।
নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সকালেই বেরিয়ে পড়েছেন তাদের কর্মের খোঁজে। পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে কিছু অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব পরিবহনে অফিসে যাতায়াত করছেন। এছাড়া হেঁটে বা রিকশায় হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে।
পুলিশের তরফ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বুধবার থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাতদিন এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং শিল্প-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া ‘লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
Leave a Reply