বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে (পিআইও) কার্য সহকারী পদে স্ত্রী ঝুমুর রানীর হয়ে প্রক্সি দিচ্ছেন স্বামী শুভ সিকাদার। কেবল স্ত্রীর হয়ে চাকরিতে প্রক্সি নয়, রাঙ্গাবালী পিআইও অফিসে তিনি খুলে বসেছেন ঘুষ বাণিজ্য। অফিসের যাবতীয় অবৈধ লেনদেন সবই হয় শুভ’র মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে অনেকের ক্ষোভ থাকলেও পিআইও-এর স্নেহধন্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে। স্ত্
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাকুরিতে যোগদানের পর ঝুমুর রানীকে একদিনের জন্যও অফিসে দেখা যায়নি।ওই চাকরিতে র্দীঘ ৩ বছর ধরে তার স্বামী শুভ সিকদার প্রক্সি যাচ্ছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ একটি মহল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৬ই আগস্ট সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ঝুমুর রানীকে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কার্য সহকারি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু যোগদানের তিন বছরে একদিনও অফিস করেনি ঝুমুর। তার পরিবর্তে প্রকাশ্যে স্বামী শুভ সিকদার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমারের স্নেহভাজন হওয়ার অফিসের অন্যান্যরা কোন প্রতিবাদ করেন না।
স্ত্রীর বদলে অফিস করা ছাড়াও পিআইও অফিসের সকল ঘুষ লেনদেনে শুভ জড়িত বলে অভিযোগ আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হয়েও তাকে মধ্যস্থতা করতে দেখা যায়। টিআর, কাবিখা, টাবিকাসহ নানা প্রকল্পের বরাদ্দ পেতে কমকর্তারা আগে তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন বলেও ভুক্তভোগিরা জানান।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ বলেন, এই এলাকায় শুভ বেশ পরিচিত। বিভিন্ন বিষয়ে আমরা তার মাধ্যমে খোঁজখবর পাই। তার স্ত্রী অফিসে না আসার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবে। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, স্ত্রীর হয়ে চাকরিতে স্বামীর প্রক্সি দেয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত কাজ। আমরা তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
Leave a Reply