রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঢাকা- বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, তাকে স্বাগত জানানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘মেহমানকে আপ্যায়ন করা ইসলামের রীতি। এমনকি সে যদি আপন পিতার হত্যাকারীও হয় তবুও। এটা ইসলামে সৌন্দর্য। সে হিসেবে বাংলাদেশে আমন্ত্রিত সকল বিদেশি মেহমানকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।
‘কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিষয়টি আলাদা। তার সহিংস অতীত এবং ক্ষমতা গ্রহণের পরে ভারতজুড়ে তিনি যে ধর্মীয় সহিংসতা উসকে দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই।’
চরমোনাই পীর বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদির মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার এই মাইলফলকে উপস্থিত থাকা স্বাধীনতার মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। সেসব বিবেচনায় আমরা নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রিত হতে পারেন না।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, দেশের চলমান পরিস্থিতি ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘সুন্দরভাবে প্রতিবাদ আমরা আগেও করে আসছি, এখনও করছি। দেশের নাগরিকদের মাঝে আমাদের বক্তব্য পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারকে বলব, নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহার করে নিন। অন্যথায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক নেতার দ্বারা কলঙ্কিত করার দায় আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ দেশে বসবাস করি। আমরা আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। এটা বাস্তবায়নের কাজ সরকারের।’
আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে তাদের দলীয় উৎসবে পরিণত করেছে বলেও মন্তব্য করেন চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ‘সরকার দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা দিয়ে জনতার মাঝে বিভেদ তৈরি করে রেখেছে। একটি জাতীয় আনন্দঘন মুহূর্তকে এভাবে দলীয়করণ করার নিন্দা জানাচ্ছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠন করে এই উৎসবকে সার্বজনীন করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ জনগণের রাজনৈতিক অধিকার, সুশাসন ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি
Leave a Reply