শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
মোঃ ইব্রাহীম মুন্সী,মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মেহেন্দিগঞ্জের দুটি ইউনিয়ন আলীমাবাদ ও চরগোপালপুর ইউনিয়নের মোহনায় মোস্তফা বাজার সংলগ্ন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সেখানে বাঁধ দেওয়া এবং বালু উত্তোলনের ফলে আলীমাবাদের কাজীরহাটের ১০ ফুটের খাল ভেঙ্গে এখন নদীতে রুপ নিচ্ছে।
বিলীন হয়েছে একাধিক বসত ভিটা ও ফসলী জমি। এ ছাড়াও বিলীন হয়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার পরিবারের চলাচলের একমাত্র উপায় ওই খালের উপর থাকা ব্রিজ, ৩ কিলোমিটার কাচা রাস্তা। যারফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে মাঝকাজি বাজারের সাথে চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এলাকাবাসী জানান অমাবশ্যার জোওয়ারে ও অতিবৃষ্টির কারণে বৃদ্ধি হওয়া পানি নামতে না পারায় প্লাবিত হয়েছে ৪টি মৌজা, পানিবন্ধি রয়েছে হাজারো পরিবার, মরেছে গরু ছাগল।
স্থানীয়দের দাবী বাঁধ অপসারণ ও এই অঞ্চলের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে অচিরেই আলীমাবাদ ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে ৪টি মৌজা।
ভাঙ্গন আতংকে প্রায় ৩ হাজার পরিবার। এদিকে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আলীমাবাদ ইউনিয়নের জনগনের পক্ষ থেকে ইউসুফ বাঘা নামের জনৈক ব্যক্তি মেহেন্দিগঞ্জ থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে জানা যায় খালে বাধ দেয় জনৈক্য সিরাজ ফকির, দুলাল মৃধা ও খালেক ফকির’র নেতৃত্বে।
আর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন’র অভিযোগ স্থানীয় হুমায়ুন বয়াতী, বাবুল বয়াতী ও কাউসারসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে। খাল বাধ আর বালু উত্তোলনে প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেন অভিযুক্তদের কেউ কেউ। এমন কি স্থানীয় এমপি পংকজ নাথ’র নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী।
এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডের মেম্বারদ্বয় ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রতিকার না পেলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হবো এবং যে কোন মূল্যে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাঁধ অপসারণ করা হবে।
চরগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার ইউনিয়নের মোস্তফা বাজার রক্ষায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে, তিনি আরো বলেন বাঁধের চেয়ে ওই ইউনিয়নের বেশি ক্ষতি হচ্ছে নির্বিচারে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবিদুর রহমান বলেন অভিযোগের বিষয়ে সততা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পীযুষ চন্দ্র দে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বালু উত্তোলন বন্ধ ও ভোগদখলকৃত খালের বাঁধটি কেটে দিলে পানিবন্দি থেকে তারা মুক্তি পাবেন ওখানকার মানুষগুলো।
Leave a Reply