মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওসি প্রদীপ সিনহার শরীরে আরো দুটি গুলি করে ! Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওসি প্রদীপ সিনহার শরীরে আরো দুটি গুলি করে !

মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওসি প্রদীপ সিনহার শরীরে আরো দুটি গুলি করে !

মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওসি প্রদীপ সিনহার শরীরে আরো দুটি গুলি করে !




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মরদেহের ময়নাতদন্তেও চারটির বেশি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

 

এর আগে সুরতহাল প্রতিবেদনে মরদেহে ছয়টি গুলির চিহ্ন পায় পুলিশ। তবে প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেছেন, সেই রাতে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী চারটি গুলি ছোড়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিনহার শরীরে আরো দুটি গুলি করেন।

 

 

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের গুলিতে সিনহা রাশেদ নিহত হওয়ার পর বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত যে মামলা করেন তাতে বলা হয়েছে, সেই রাতে পরিদর্শক লিয়াকত চারটি গুলি করেন।

 

পরদিন নিহত সিনহার লাশের সুরতহাল তৈরি করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মেজর সিনহার মরদেহে ছয়টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পরিদর্শক সাইফুল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি মেজর সিনহার মরদেহ তন্ন তন্ন করে দেখেছি। মরদেহে আমি মোট ছয়টি ফুটো দেখতে পেয়েছি, যা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

 

টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলা এবং সুরতহাল রিপোর্টে বর্ষিত গুলি ও মরদেহে গুলির চিহ্ন নিয়ে ভিন্ন তথ্যের পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় ছিলেন তদন্তকারীরা। গতকাল কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের হাতে পৌঁছেছে। ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তবে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে যে সিনহার মরদেহে চারটির অধিক গুলির চিহ্ন মিলেছে।

 

 

অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ইজি বাইক (টমটম) চালক সরওয়ার কামাল গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত গুলি করার পর মোবাইলে বলেন, ‘স্যার তিনটি দিয়েছি।’ টমটমচালক আরো জানান, এর কিছুক্ষণ পর টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়া মেজর সিনহার বুক-পিঠে লাথি মেরে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে আরো দুটি গুলি করেন।

 

 

টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর নয়াপাড়ার বাসিন্দা সরওয়ার কামাল মোবাইল ফোনে জানান, তিনি গত ৩১ জুলাই সন্ধ্যার পর শামলাপুর লামার বাজারে গিয়ে পরদিন ঈদুল আজহা উপলক্ষে একটি পাঞ্জাবি কেনেন। এরপর মেরিন ড্রাইভে ঘটনাস্থলের পাশে ব্রিজে বসে সিগারেট টানছিলেন। এমন সময় তিনি দেখেন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও তদন্তকেন্দ্রের ক্যাশিয়ার (কনস্টেবল) মামুন কক্সবাজারমুখী একটি কার থামান। কার থেকে এ সময় এক ব্যক্তি নামতেই পরিদর্শক লিয়াকত পর পর তিনটি গুলি করেন। এরপর ওই ব্যক্তির অন্য সঙ্গী নামতেই তাঁর পা লক্ষ্য করে একটি গুলি করেন। তবে সেই গুলি তাঁর পায়ে লেগেছে কি না তিনি জানেন না। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ওসি প্রদীপ এসে মেজর সিনহার শরীরে দুই রাউন্ড গুলি করেন।

 

 

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে চারটি গুলির হিসাবই মামলার মাধ্যমে দিয়েছেন ওসি প্রদীপ। ফলে তিনিসহ আর কেউ বেশি গুলি করে থাকলে সেটিও এখন বড় অপরাধ হয়ে যাবে। কারণ সরকারি প্রতিটি গুলিরই হিসাব দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে—তাহলে বেশি গুলি কোথা থেকে এলো? সেই গুলি কি অবৈধ ছিল?

 

 

চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু : সিনহা হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা চার আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গতকাল দুপুর আড়াইটা থেকে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ওই চার আসামি হলেন পুলিশের সাময়িক বহিষ্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। চারজনকে কারা ফটকে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ ও বাকি তিনজনের প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ আদালত থেকে গতকালই দুপুর ২টার দিকে জেলা কারাগারে পৌঁছেছে।

 

 

অন্যদিকে রিমান্ডের আদেশ পাওয়া তিন আসামিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়া হয়নি। তাঁরা হলেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD