শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
মুলাদীতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুরে বিল দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুলাদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পরিশোধিত বিল নতুন বিলের সাথে যোগ করে দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করছে। গ্রাহকদের কাছে পরিশোধিত বিলের কাগজ থাকা সাপেক্ষে বিদ্যুৎ বিল সহজে সমন্বয় করার কথা বলা থাকলেও এসব ভুতুরে বিল সমন্বয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং সহকারী দিপ্তী চন্দ’র কাছে গ্রাহকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিল সমন্বয় করতে আসা সাধারণ গ্রাহকদের সাথে রূঢ় আচরন, সমন্বয় করতে সময় ক্ষেপন, বিভিন্ন টেবিলে দৌড়ঝাঁপ করানোসহ নানান অভিযোগ রয়েছে এ দিপ্তী চন্দের বিরুদ্ধে।
মুলাদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রেজায়েত আলীর সাথে সম্পর্ক ভালো থাকায় বিলিং সহকারী দিপ্তী চন্দ কাউকে তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র। ডিজিএমের সাথে ভালো সম্পর্কের দাপটে দিপ্তী চন্দ নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক জানান জুলাই মাসের বিল পরিশোধ করা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বর মাসের বিলের সাথে ওই বিল যোগ করে দেওয়া হয়। বিলের পরিশোধিত কপি নিয়ে গতকাল বিদ্যুৎ অফিসে গেলে ওই গ্রাহকের সাথে রূঢ় আচরন করে দিপ্তী চন্দ।
পরে ওই গ্রাহক ডিজিএমের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। বাটামারা ইউনিয়নের এক গ্রাহক রাসেল জানান বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হলেও তার বর্তমান বিলের সাথে বকেয়া হিসেবে বিল যোগ করে দেওয়া হয়। ফলে তিনি বিকাশ কিংবা ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারছেন না।
ইতোপূর্বে তিনি এধরনের হয়রানি শিকার হয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করতে গেলে অফিসের বিলিং সহকারীরা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং অনেক সময় বসিয়ে রাখে। সাধারণ গ্রাহকরা এসব ভুতুরে বিল ও হয়রানি বন্ধের জন্য পল্লী বিদ্যুতের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রেজায়েত আলী জানান গ্রাহকদের বকেয়া বিল করতে গিয়ে দু’একটি ভুল হতে পারে। তবে সমন্বয় করতে আসা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরন ও হয়রানি কাম্য নয়। বিষয়টি আমি দেখতেছি।
Leave a Reply