শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
মুলাদীতে গৃহবধুকে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের মোকছেদ হাওলাদার বাদী হয়ে তার কন্যাকে আতœহত্যায় প্ররোচনার দায়ে একই গ্রামের ফরিদ ভূইয়ার পুত্র সুজন ভূইয়া ও আতাউর রহমান ওরফে আলাউদ্দীনসহ ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। গত বুধবার দুপুরে মোকছেদ হাওলাদারের কন্যা ও সুজন ভুইয়ার স্ত্রী ইসরাত জাহান ইতি চিরকুট লিখে পিতার বাড়িতে আতœহত্যা করে। চিরকুটের সূত্রধরে এবং বিগত দিনে ইতির শ্বশুর পরিবারের নির্যাতনের অভিযোগ এনে মোকছেদ হাওলাদার এ মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদ আহমেদ তালুকদার মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান ইসরাত জাহান ইতি মৃত্যুর আগে চিরকুটে যৌতুকের জন্য তার শ্বশুর পরিবারের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করায় মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান সুজন ভূইয়া অপমানের প্রতিশোধ নিতে ইসরাত জাহান ইতিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে এবং পরবর্তীতে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আতœহত্যায় বাধ্য করেছে। দুই পরিবারের ঐতিহ্যে পার্থক্য থাকায় ইতোপূর্বে ইতির পরিবার বখাটে সুজনের পরিবারের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো। ওই অপমানের প্রতিশোধ নিতে সুচতুর সুজন ভূইয়া প্রথমে দশম শ্রেণির ছাত্রী ইতির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরিবারের অমতে গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পালিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সবাই তাদের বিয়ে মেনে নিলেও সুজন ও তার বড়ভাই যৌতুকের জন্য ইতিকে চাপ প্রয়োগ করে এবং যৌতুক দিতে না পারলে মরে যেতে বলে। স্বামীর কাছে এধরণের কথা শুনে ইতি বুধবার আত্নহত্যা করে। আতœহত্যার কয়েক মিনিটের মধ্যে সুজন মোবাইল ফোনে ইতির মায়ের কাছে আতœহত্যার বিষয়টি জানায়।
Leave a Reply