সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চিকিৎসাসহ মিন্নির পক্ষে দুটি আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম। বেলা ১২টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আবেদন দুটি নামঞ্জুর করেন।
পরে আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আয়েশা ছিদ্দিকা মিন্নির চিকিৎসাসহ দুটি আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে একটি আবেদন ছিল মিন্নির চিকিৎসা চেয়ে।
এছাড়া, ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি প্রত্যাখ্যানের আবেদনে মিন্নির স্বাক্ষরের জন্য তাকে আদালতে হাজির করতে আদালতের অনুমতি চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়। আদালত দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন। মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসলাম বলেন, আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে বলেছেন, এবিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজি তাকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন।
তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তার স্বামীকে রক্ষা করতে পারেননি। গত ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। পরে আয়শা ছিদ্দিকা মিন্নিকেও রিফাত হত্যা মামলার আসামি করে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৩ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছ পুলিশ ।
গত ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে তাৎক্ষণিকভাবে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ঐদিন বিকালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরিফ মারা যায়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Leave a Reply