সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলা জেলা শহর রক্ষাবাঁধের ইলিশা সাজিকান্দি পয়েন্টে ধসে যাওয়া ৪০ মিটার মেরামত করে কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। কারিগরি পরিকল্পনা সঠিক না হওয়ায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেও গত তিনদিন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, টেকসই বাঁধ চাই। সিসিব্লক চাই। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুরে কাদাপানি ডিঙিয়ে ওই এলাকায় সর্বশেষ অবস্থা দেখতে ছুটে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ও পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। স্থানীয় কয়েক ঠিকাদার দিয়ে পাউবো কর্মকর্তারা ধসে যাওয়া বাঁধ মেরামতে একের পর এক চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করতে না পারায় মেঘনার পানি প্রবেশ করে ইলিশা ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। তিনদিন না খাওয়া এসব পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করছেন জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আবদুল্লাহসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তিনদিন আগে মেঘনার অতিজোয়ার ও বাতাসের তোড়ে সাজিকান্দি পয়েন্টে আঘাত আনে। এতে জেলা শহর রক্ষাবাঁধ ধসে পানি প্রবেশ করতে থাকে। তারা ওই বাঁধ থেকে ধসে যাওয়া অংশ প্রথমে বালুভর্তি বস্তা ফেলে ঠেক দেয়ার চেষ্টা করেন। পরের জোয়ারে তাও ভাসিয়ে নেয়। আবার ভাটায় পাইলিং করে বস্তা ফেলা হয়, তাও টিকেনি। এরপর শুক্রবার বিকল্প রিংবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেন। কিন্তু জলাবদ্ধতা ও বিশাল গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ওই রিংবাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। সর্বশেষ শনিবার থেকে ওই এলাকায় দুই দিকে বল্লি (গাছের গুঁড়ি) গেড়ে মাঝে স্টিল শিট দিয়ে ভেতরে বস্তা ফেলে পানি প্রবেশ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই চেষ্টা বিকাল পর্যন্ত চলছে। পাউবো কর্মকর্তাদের এমন একের পর পরিকল্পনায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু বাঁধের ভেতর দিয়ে পানি প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, তারা টেকসই বাঁধ চান।
জেলা প্রশাসক জানান, তিনি ওই এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। বর্তমানে পানি প্রবেশ ঠেকানো জরুরি। ইতোমধ্যে কয়েক কোটি টাকার ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।
Leave a Reply