রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিনের ৪ নং ওয়ার্ডকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করার লক্ষ্যে জনতার শপথ ও বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষনা হয়।বুধবার (১৫ মে) দুপুরে ধনিয়া প্রাথমিক বিদ্যলয় প্রাঙ্গণে ইউনিসেফের সহযোগীতায় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোষ্ট ট্রাস্ট্রের সমনি¦ত শিশু বিবাহ প্রতিরোধ কর্মসূচী (আইইসিএম) প্রকল্পর আয়োজনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাল্য বিয়েমুক্ত করতে জনতার শপথ ও মুক্ত ঘোষনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ হোসেন কবির।শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আইইসিএম প্রকল্পের এপিসি দেবাশীষ মজুমদার।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হারুন হাওলাদার,এসআই ছগির, সহকারি শিক্ষক হেলাল উদ্দিন, মহিলা ইউপি সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন,কাজী হাফেজ মো: ইয়াসিন।আদিল হোসেনের সঞ্চালনায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ট্রেনিং এন্ড মনিটরিং অফিসার জিয়া উদ্দিন, কিশোর কিশোরীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সীমা,ইয়াকুব,ফারজানা,রাসেল।
এসময় বক্তারা বলেন,বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ও আইনগত অপরাধ।প্রত্যেক কিশোর কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্নতা লাভের পথে অন্তরায়। বাল্যবিয়ের ফলে একজন কিশোরীর অনেক ধরনের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। মূলত সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য বালবিয়ে দিলেও তা পরে পরিবারটির উপর অভিশাপের কারন হয়ে দাড়ায়।
বাল্যবিয়ে কোন সমাধান নয়। অল্পবয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ফলে সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ,নারী নির্যাতন , যৌতুক ও অপুষ্ঠ শিশুর জন্মর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই মেয়েদেরকে ১৮ ও ছেলেদেরকে ২১ এর আগে বিয়ে দেওয়া যাবে না। বাল্যবিয়ে বন্ধে পরিবারগুলোকে আরো সচেতন করতে হবে। জনগনকে এর কুফল সম্পর্কে আরো বিস্তর ভাবে জানাতে হবে। এবং যেখানে বাল্যবিয়ে দেখবেন সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এসময় বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ মেনে চলার আহবান জানান বক্তারা।
পরে এলাকার সকলে মিলে বাল্যবিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন গড়তে ও বাল্যবিয়ে,ইভটিজিং,মাদক মুক্ত সমাজ প্রতিরোধে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
Leave a Reply