সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বাসা বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় চরকলমী ইউনিয়নের আনজুরহাট বাজারের পুরাতন গলিতে আমিনুল ইসলাম তুহিন হাওলাদারের বাসাবাড়িতে এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
হামলা ও লুটপাটের সময় গৃহকর্ত্রী সাহারা বেগমের ডাক-চিৎকারে বাজারের শতাধিক লোক ওই বাসাটি ঘিরে ফেলে এবং হামালাকারীদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনকে আটক করেন। সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যার পর শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা জনতার হাতে আটক ৩ জনকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী সাহারা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) শেখ সাব্বির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাসার মালিক তুহিন হাওলাদার জানান, ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। বাসায় তার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে ছিলেন। স্ত্রী সাহারা রোজা ছিলেন। সন্ধ্যায় ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তার বাসার দরজা নক করার শব্দ পেয়ে স্ত্রী সাহারা ঘরের দরজা খুলে দিলে অপরিচিত ৭-৮ জন লোক ঘরে ঢুকে ঘরের আসবাবপত্র, আলমারি, শোকেস ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করেন। স্ত্রী আতংকিত হয়ে পড়েন এবং হামলাকারীদেরকে বাধা সৃষ্টি করে তিনি ব্যর্থ হন।
পরে তিনি ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে ডাক-চিৎকার দেন। তার ডাক-চিৎকার শুনে বাজারের শতাধিক লোক বাসাটি ঘিরে ফেলেন।এ সময় বিপদ আঁচ করতে পেরে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও স্থানীয় জনগণ ৩ হামলাকারীকে আটক করে রাখেন।পরে থানায় খরব দিলে শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসেন।
তিনি জানান, পুলিশ আসার পর আমরা জানতে পারি আটক ৩ জনের মধ্যে ১ জন শশীভূষণ থানায় কর্মরত এএসআই ফেরদাউস আরেকজন একই থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহেল। তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন রসুলপুর ইউনিয়নের বখাটে যুবক লিমন। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণ-অলংকার লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে আটক ২ পুলিশ সদস্য মাদক অভিযানে আনজুরহাট এলাকায় যান। সেখানে গেলে রসুলপুর ইউনিয়নের পূর্ব পরিচিত যুবক লিমনের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। লিমনের নিমন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা চা খাওয়ার জন্য ওই বাসায় যান। কিন্তু যুবক লিমনের সঙ্গে ওই বাসার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের প্রেম গঠিত বিষয় ছিল ওই সূত্র ধরেই তারা ওই বাসায় যান। যাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। গৃহকর্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি জানান।
Leave a Reply