শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
বরিশাল থেকে ফিরে কুয়াকাটা প্রতিনিধি ॥ বরিশাল নগরীর বেলভিউ হসপিটাল এন্ড মেডিকেল সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ এ রোগী সেবার নামে চলছে হয়রানী ও অর্থবাণিজ্য। একাধীক ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ নিউরোমেডিসিন ডাঃ অমিতাভ সরকারের বেলভিউ চেম্বারের সামনে থাকা সহকারী মাজহারুল অনেক সময় রোগীদের সাথে খারাপ আচারণ করে থাকেন।
বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী এসে ডাক্তার কখন আসবে অথবা অনেকে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা করার পরে রিপোর্ট কখন পাবে এরকম কোন বিষয় জানতে চাইলে সঠিক কোন জবাব না দিয়ে উল্টো ধমক দেন এবং বলে এত তাড়া হুরা করছেন কেন ? আপনাদের মত রোগী আমারে এখানে দরকার নাই। এমনকি এরকমও বলে থাকেন যে, ছ’শত টাকা দিয়ে ডাক্তারকে কিনে নিয়েছেন নাকী, এমন এন্তার অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে ডাক্তার সাহেব একই সময় ১০ থেকে ১৫জন পর্যন্ত রোগী একসাথে চেম্বারে ঢুকিয়ে গ্যাদারিং সৃষ্টি করে রোগী দেখেন। অনেকের অভিযোগ বেশী লোক থাকায় অনেক গোপনীয় কথা ডাক্তারের সাথে বলতে পারেনা। এছাড়া জগা খিচুরীর মত প্রেসক্রিপশন করে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরিক্ষার ছাপানো লিফলেটে টিক চিহ্ন দিয়ে বলেন সামনে সহকারীর সাথে যোগাযোগ করুন।
সামনে থাকা সহকারী মাজহারুল বলেন, এসকল পরীক্ষা এখানেই করাতে হবে এবং পরীক্ষার ফির ক্যাশমেমো এখানে জমা দিয়ে যাবেন। তার পরে তারা রিপোর্ট সংগ্রহ করে তাদের মত রোগীর অবর্তমানে ব্যবস্থা পত্র লিখে রোগীদেরকে পরের দিন যেকোন সময়ের মধ্যে দিয়ে দেন। অথচ রোগীদেরকে ডাক্তারের সাথে দেখাও করান না এবং কোন আদেশ নিষেধ অথবা কোন পরামর্শও দেন না।
এক ভুক্তভোগী রোগীর স্ত্রী নাজমা বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ্য হওয়ার পরে প্রথমে কলাপাড়া হসপিটালে দেখান হয়। সেখানকার ডাক্তার অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। আমার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য পরের দিন বরিশাল বেলভিউতে নিউরোমেডিসিন ডাঃ অমিতাভ সরকারের কাছে গেলে তিনি পূনরায় ওই সকল পরীক্ষা করাতে দেন। যদি সে সকল পরীক্ষা ঠিক না হয় তাহলে আমাদেরকে বল্লে অন্তত আমরা মনের দিক থেকে একটু শান্তি পেতাম। একই পরীক্ষা কলাপাড়ায় করালাম এবং বেলভিউতেও করালাম। শুধু তাই নয় বেলভিউ ছাড়া অন্যত্র করলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবেনা বলে জানিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে অন্যত্র পরীক্ষা করালে সেখানে কিছু টাকা কমে করান সম্ভব হত। সেথেকেও বঞ্চিত আমরা। অর্থ্যাৎ বেলভিউ মানেই রোগী হয়রানী ও আটকিয়ে অর্থবাণিজ্যের পাহাড় গড়া ছাড়া আর কিছু নয়। তাই বেলভিউ কর্তৃক রোগী হয়রানী ও আটকিয়ে অর্থবাণিজ্যের পাহাড় গড়ার প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে গরীব রোগীদের সু-চিকিৎসা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।
এব্যাপারে বরিশাল শেবাচিমে কর্মরত ও বেলভিউতে প্রাইভেটভাবে প্রাকটিসকারী নিউরোমেডিসিন সহকারী অধ্যাপক ডাঃ অমিতাভ সরকারের আরেক সহকারী শহিদুলের মাধ্যমে একাধীকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নী।
Leave a Reply